কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রাস্তায় গোয়ালঘর নির্মাণ করে ৩২টি পরিবারের চলাচল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ৩২টি পরিবারের প্রায় শতাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে তারা। জানা গেছে, উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের আন্ধারীঝার বাজার থেকে মোগল কাটা যাওয়ার রাস্তায় সাবেক ইউপি সদস্য শাহাদত মাস্টারের বাড়ির সন্নিকটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ প্রায় বত্রিশটি পরিবার দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি ওই এলাকার মৃত বালিয়া শেখের পুত্র খৈমুদ্দিন ও ছকিয়া শেখের স্ত্রী জামেনা বেগম ওইসব পরিবারের চলাচলের রাস্তায় টিনের চালা দিয়ে গোয়ালঘর নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। খৈমুদ্দিনের পুত্র সুরুজ্জামানের সঙ্গে একটি পরিবারের ঝগড়া ও মনমালিন্য হওয়ার কারণে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাস্তা বন্ধ হওয়ার পর পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদ্বয়কে বিষয়টি অবগত করলে তারা একাধিকবার বিভিন্নভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও বিবাদীরা কাউকে তোয়াক্কা করছেন না।
ভুক্তভোগী আশাদুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর পুত্র নুর মোহাম্মদ বলেন, একটা মানুষের জন্য আমরা শতাধিক মানুষ গৃহবন্দি হয়ে আছি। কোনো মতে পায়ে হাটা পথ দিয়ে বের হচ্ছি। কিন্তু কোনো প্রকার বড় ভারি মালামাল বা গবাদিপশু বের করা কিংবা বাসা বাড়িতে ঢুকাতে পারছি না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খৈমুদ্দিনের ছেলে সুরুজ্জামান জানান, এতদিন রাস্তা দিয়েছি এখন আমাদের ঘর তোলার দরকার তাই তুলেছি। ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মণ্ডল জানান, রাস্তাটি আগের মতো খুলে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম কিন্তু তারা আমার কথা শোনেননি। এ ব্যাপারে ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তহশিলদালকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিদুল ইসলাম বলেন, আমি সরেজমিন গিয়েছিলাম ওই রাস্তা দিয়ে বহু বছর ধরে মানুষ চলাচল করে আসছেন, রাস্তাটি রেকর্ড না পাওয়ায়, ব্যক্তি মালিকানা শর্তে সামাজিকভাবে বিভিন্ন পন্থায় মীমাংসার চেষ্টা চলমান আছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে বাদীদের আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এটির একটি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।