ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানুষের পাশে মালেক স্মৃতি ফাউন্ডেশন

মানুষের পাশে মালেক স্মৃতি ফাউন্ডেশন

টাঙ্গাইলের সখীপুর-বাসাইলে অনেকটা নীরবে-নিভৃতে অসহায় দরিদ্রদের সেবা করে যাচ্ছেন মালেক স্মৃতি ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জিএম বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল মালেক মিঞার নামে এ ফাউন্ডেশনের নামকরণ করা হয়। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় গরিব-দুঃখীদের সহযোগিতায় নানারকম কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে অসহায়দের চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উপজেলার হাতীবান্ধায় প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজন করা হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প। সেখানে অসহায়-দরিদ্রদের কিডনি, চক্ষু, হার্ট, লিভার, গাইনি, অর্থপেডিক, গ্যাস্ট্রো, ডায়াবেটিস, নাক-কান-গলা, ডেন্টাল, বাতব্যাথা, প্যারালাইসিসসহ নানা বিষয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। এ চিকিৎসা ক্যাম্প থেকেই বিগত ১৯ বছরে অন্তত ৯৭ হাজার রোগী বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিবছর চোখে ছানিপড়া রোগীদের বাছাই করে তাঁদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও করা হয়। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল মালেক মিঞার মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে এলাকার মানুষ ‘মালেক মিঞা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গড়ে তোলেন। ওই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অসহায়দের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, ঈদসামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসাসেবা, স্কুল-কলেজ মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরে দান-অনুদানসহ নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রয়াত জিএম মালেকের তিন ছেলে আওলাত হোসেন সুমন, আমিন শরীফ সুপন ও আওলাত হোসেন নানাভাবে অসহায় দরিদ্রদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় খেলাধুলা, সামাজিক ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও সভা- সেমিনারে। চোখের ছানী পড়া স্থানীয় রহিম মিয়া জানান, আমি গরিব মানুষ। টাকার অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারিনি। মালেক স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমাকে অপারেশ করা হয়েছে। আমার চোখে এখন আলো ফিরে এসেছে। আব্দুল মালেক মিঞার কনিষ্ঠ পুত্র আমিন শরীফ সুপন বলেন, বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রায় একযুগ ধরে আওয়ামীপন্থি অফিসার্স প্যানেলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আমৃত্যু আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে সখীপুর-বাসাইলের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরাও সখীপুর-বাসাইলের অসহায় গরিব-দুঃখীদের সহযোগিতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত