ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে নদী দূষণকারী কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন

৮৬৫ কেজি অবৈধ পলিথিন জব্দ
নারায়ণগঞ্জে নদী দূষণকারী কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার নিউ হাজীগঞ্জে ও সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে নদী দূষণ বন্ধে এবং অবৈধ পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চালিয়েছে। এ সময় কালার ফেয়ার ওয়াশিং (ডাইং) কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৮৬৫ কেজি অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ২২ আগষ্ট দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, বিদ্যুৎ বিছিন্নকারী টীম, তিতাস গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী টিম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমম্বয়ে একটি টীম এ অভিযান চালায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কারখানাটি দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতীত এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন ব্যতীত কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। ইতোপূর্বে কারখানাটিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখা হতে ক্ষতিপূরণ ধার্য ও আরোপ এবং ইটিপি স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হলেও উক্ত নির্দেশনা না মেনে কারখানা কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে পরিবেশ দূষণ করছিল। বিভিন্ন দূষণকারী কারখানার অব্যাহত দূষণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কারখানাটির সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয় হতে প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের মহাপরিচালক কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রস্তাব অনুমোদন প্রদান করেন। এছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬ক ধারা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৮৬৫ কেজি অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয় এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কারখানা দুটি হলো- কাঁচপুরের রুপালি মার্কেট এলাকার জনি স্টোর ও শামীম স্টোর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত