ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাঁচবিবিতে ভূমিদস্যুর দাপটে মাটি খননে ফসলিজমিতে ধস

হুমকির মুখে বসতবাড়ি
পাঁচবিবিতে ভূমিদস্যুর দাপটে মাটি খননে ফসলিজমিতে ধস

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। অপরদিকে হুমকির মুখে পড়েছে নদী পাড়ের বসতবাড়ি। ফলে আতঙ্কে রয়েছে সেখানকার লোকেরা। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচবিবি উপজেলা উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট যমুনা নদীর তীরবর্তী আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ছোট্ট মানিক গ্রাম গোয়ালপাড়া। গ্রামের পাশেই ছোট্ট যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী সালেকীন ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের নিকটবর্তী জায়গা থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এতে নদীর তীরবর্তী কৃষকদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বালু উত্তোলনে বাধা দেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। কিন্তু বালু ব্যবসায়ী সালেকীন কৃষকদের বাধা নিষেধ সব কিছু অমান্য করে বালু উত্তোলন করেন এবং কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। বালু ব্যবসায়ী সালেকীন অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে নদীর তীরবর্তী পশ্চিম মানিক গোয়ালপাড়া গ্রামের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে কৃষকের ফসলি জমি ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে স্থানীয় আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জমি ও এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই এলাকার কৃষকরা খুব গরিব লোক। ভূমিদস্যু সালেকীনের অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারনে ফসলসহ কৃষকের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তিনি দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও কৃষকদের ক্ষতি পূরণের দাবি জানান। এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী সালেকীন ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে কৃষকদের করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি সেখানে কোনো বালু বা মাটি উত্তোলন করিনি, আমি আমার জমি থেকে মাটি কেটে পাড় বেঁধেছি। পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য বলেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত