নওগাঁয় স্টিলের আসবাবপত্রের চাহিদা বাড়ছে

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

নওগাঁয় স্টিলের তৈরি আসবাবপত্রের চাহিদা বেড়েছে। দামে কম এবং মানে ভালো হওয়ায় সব শ্রেণির মানুষের কাছে এখন পছন্দের তালিকায় রয়েছে এসব আসবাবপত্র। চাহিদা বাড়ায় গড়ে উঠেছে কারখানা। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায়। তবে কাঁচামালের (উপকরণ) দাম বাড়ায় কমেছে উৎপাদন। বিগত বছরে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকার পন্য উৎপাদিত হতো। বর্তমানে কাঁচামালের দাম বাড়ায় মালামাল কিনতে পুঁজি সংকটে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, ২০০০ সালে নওগাঁ শহরের কাঁঠাতলী এলাকায় নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হাতে গোনা কয়েকটি স্টিলের দোকান গড়ে উঠেছিল। দামে কম মানে ভালো এবং টেকসই ও মজবুত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে বাড়তে থাকে স্টিলের আসবাবপত্রের চাহিদা। সব শ্রেণির মানুষের কাছে এখন পছন্দের এসব স্টিলের আসবাবপত্র। এসব দোকানে স্টিলের বাহারি খাট, সোফা, আলনা, মিটসেফ, সুকেস, খাটিয়া, দরজা-জানালা, সিড়ি এবং শিটের তৈরি বাক্স ও ড্রামসহ অন্যান্য আসবাব পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে ৭০টি দোকান থেকে এসব পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। স্টিলের নকশা করা খাটের দাম পড়বে ৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং সাধারণ খাট ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া আলনা ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। খাটিয়া ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং গোসলের খাট ৬ থেকে ১৫ হাজার টাকা। মেসার্স বাপ্পী অ্যান্ড আরাফাত ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী আরাফাত হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আড়াই ইঞ্চির ২০ ফুটের একটি পাতলা পাইপে ২৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩২০ টাকা এবং মোটা সাইজের পাইপ ৫২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতিকেজি লোহা (অ্যাঙ্গেল) ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকা। এতে প্রকার ভেদে প্রতিটি খাটের দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। দোকানি রেজা মৃধা বলেন- মধ্যবিত্তদের মধ্যে টেকসই, সাধ্য ও মূল্য কাজ করে। সিটলের আসবাবপত্র সহজে নষ্ট হয় না। পরিবহনে সুবিধা। দামে কম মানেও ভালো। কাঠের একটি খাটের দাম ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সেখানে স্টিলের খাটের দাম ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। এ কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে চাহিদা রয়েছে। নওগাঁ কাঁঠালতলী স্টিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী জানান, প্রায় ২৩ বছর আগে কাঁঠালতলী এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি স্টিলের আসবাবপত্রের দোকান গড়ে উঠেছিল। ব্যবসা ভাল হওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭০টি দোকান হয়েছে। প্রতিটি দোকানের নিজেস্ব কারখানা আছে। খুচরা বিক্রির পাশাপাশি পাইকারিতে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ৭০টি দোকান থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার পণ্য উৎপাদন হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। কাঁচামালের দাম বাড়ায় আমরা পুঁজি সংকটে পড়েছি এবং উৎপাদনের পরিমাণ কমে গেছে।