ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতা গ্রেপ্তার

নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতা গ্রেপ্তার

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতা সোনামিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবিতে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিশুটির মামা আবদুল হাই অভিযুক্ত ধর্ষক সোনা মিয়াকে আসামি করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটি তরগাঁও ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। শিশুটি জানায়, টানা ছয় মাস ধরে প্রতিনিয়ত নিজ বাবার লোভ লালসা ও ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে। অন্যথায় কঠিন মারধর ও নির্যাতন করত তার পিতা। মেয়ের সাথে এ রকম জগন্যতম ও ন্যক্কারজনক ঘটনার কারণে অসহায় মা প্রতিবাদ করলে তাকেও বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিত। এলাকাবাসী জানান, মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের শিকার হয়ে আসছে শেষ গত বুধবার বিকালে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। সেদিন বিকালে শিশুটি কাঁদতে থাকলে তাকে তার বাবা মারধর শুরু করে। শিশুটি ডাক-চিৎকার শুরু করে। শিশুর কান্না শুনে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার এবং সোনা মিয়াকে আটক করে। তরগাঁও গ্রামে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন সোনামিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সোনা মিয়া পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। সে উপজেলার মেডিকেল মোড়ে সবজি বিক্রি করে। অভিযুক্ত সোনা মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায়। বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেন জানান, তার বাড়িতে গত ২ বছর ধরে শিশুটির পরিবার ভাড়া থাকে। শিশুটি পরিবারের বড় মেয়ে। কিছুদিন পর পর সোনা মিয়া তার মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধর করে। কি নিয়ে মারধর করে জানতে চাইলে বলে পারিবারিক সমস্যা। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আলতাফ হোসেন সরকার খোকা বলেন, পরিবারের লোকেরা অভিযোগে জানায় ওই শিশুটির বাবা তাকে প্রায়ই এ ধরনের কাজে বাধ্য করত। তরগাঁও ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনিরা পারভীন লিপি জানায়, ওই শিক্ষার্থীকে তার বাবা মাঝেমধ্যে স্কুলে আসতে দেয়নি। ওই দিন স্কুলে এসেছিল। শুনেছি স্কুল ছুটির পর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত