যমুনার টাঙ্গাইল অংশে ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়কের মাটিকাটা মোড়ে বেঞ্চ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে ভূঞাপুর উপজেলার উত্তর পাটিতাপাড়া গ্রামের ভাঙনের শিকার দুই শতাধিক পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করে। অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধে অংশ নেওয়া বৃদ্ধা লাভলী বেগম জানান, প্রতি রবছর বর্ষাকালে তাদের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি যমুনায় বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের সময় অনেকেই পরিদর্শনে এসে আশ্বাস দিয়ে যায়। পরে তারা কোনো খোঁজ খরবই রাখে না। যমুনার করাল গ্রাস থেকে বসতবাড়ি রক্ষায় বাধ্য হয়ে অবরোধে অংশ নিতে এসেছেন। বাড়িঘর হারানো হাসেম মুন্সী ও রাজীব মিয়াসহ অনেকেই জানান, বর্তমানে নিকরাইল ইউনিয়নের উত্তর পাটিতাপাড়ার আশ-পাশ এলাকায় ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা হলেও তাদের অংশে না ফেলায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসন থেকে তাদেরকে শুধু ত্রাণ দেওয়া হয়। তারা ত্রাণ নয়, কোনো আশ্বাস নয়- স্থায়ী বাঁধ চান। ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলাল হোসেন জানান, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে মাটিকাটা মোড়ে অবরোধস্থলে গিয়ে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। পরে তিনি যমুনার ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে পাউবোকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন।
