ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুড়িগ্রামে ভারি বৃষ্টিপাত দুশ্চিন্তায় আমন চাষিরা

কুড়িগ্রামে ভারি বৃষ্টিপাত দুশ্চিন্তায় আমন চাষিরা

কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাতের ফলে বাড়ছে নদ নদীর পানি। আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ ও আমন চাষিরা। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে ভারি বর্ষণের কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুরর শ্রেণির মানুষজন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তুহিন মিয়া। এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকার আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ নদীর পানিও। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো সবগুলো নদ নদীর পানি বিপৎসীমার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ। সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার মমিনুল হক বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে আমার আমন ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতি হয়েছিল। পরে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আবারও নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করেছি। এবার যদি আবার বন্যা এসে ধান নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে আমার অনেক ক্ষতি হবে। একই এলাকার আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করছি। গতকাল থেকে আকাশের যে অবস্থা, কি যে হবে। বৃষ্টি রাত থেকে সমানে চলছে। এরকম বৃষ্টি থাকলে তো বন্যা হয়ে যাবে। এবার ধান নষ্ট হয়ে গেলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ব। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৬-২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এখনো সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা অনেক কম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত