২০ গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খরখড়িয়া নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারপার হচ্ছে ২০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর উপজেলা শহড় ও নীলফামারী জেলা শহড়ে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো এই বাঁশের সাঁকোটি। সৈয়দপুরের মধ্যভাগে রয়েছে খরখড়িয়া নদী। পূর্বদিকে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের তেলিপাড়া ও পশ্চিমদিকে বসুনিয়াপাড়া। দুইদিকে ২০টা গ্রামের লোকের বসতভিটা। পাকিস্তান আমল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেলীপাড়া, পাঠানপাড়া, প্রামাণিকপাড়া, বালাপাড়া, বড়দহ, বসুনিয়াপাড়া, জানেরপারসহ সৈয়দপুর পৌর এলাকার ২০টি গ্রামের ভ্যান, মোটরসাইকেল ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয় এই সাঁকো দিয়ে আর সাঁকো ভেঙে গেলে, কলার গাছের ভেলা তৈরি করে নদী পারাপার করে পথযাত্রী। এলাকার মোতালেব, করিম ও আকসাত বলেন, ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট শেষে তাদের টিকিরও দেখা মেলে না। বসুনিয়াপাড়ার রহিমা বেগম বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা শহড় ও জেলা শহড়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো এই বাঁশের সাঁকো, আমরা এলাকাবাসী প্রতিবছর সকলের চাঁদার টাকায় সাঁকোটি তৈরি করি, মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটেছে সাঁকোটিতে। বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের রিফাদ বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজ যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগে এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে এক ভ্যান চালক ও এক স্কুলছাত্র নদীতে পড়ে গিয়েছিল। নীলফামারীর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ হাসান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আমি উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে জেনে এটা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব। সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সভাপতি মোকছেদুল মমিন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ২০১৭ সালে ১০৬ কোটি টাকার ৮টি ঝুঁলন্ত ব্রিজের প্রকল্প ছিল তারমধ্যে সৈয়দপুরের খরখরিয়া নদীর এই ব্রিজটি। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা মহামারির কারণে প্রজেক্টটি আর আলোর মুখ দেখেনি।