কেশবপুর বেপরোয়া অজ্ঞানপার্টি

পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা। উপজেলাজুড়ে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। পরিবারের সবাইকে অচেতন করে লুটপাট করা চক্রকে শনাক্ত করেছে যশোর জেলা ডিবি পুলিশ। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞানপার্টির পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুট করা অলঙ্কার, মোবাইল ও ভ্যানসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল এবং চেতনা নাশক মিশ্রিত গুঁড়া হলুদ উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় অজ্ঞান পার্টি একাধিক বাড়ির সদস্যদের অচেতন করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এরমধ্যে কোমরপোল গ্রামের আশরাফ আলী খাঁর ছেলে বিল্লাল হোসেনের বাড়ি থেকে গত ৮ আগস্ট ১ জোড়া কানের দুল, ১ জোড়া বালাসহ নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা, জাহানপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন দাসের পুত্র গোপিনাথ দাসের বাড়ি থেকে গত ১৬ আগস্ট একটি অটোভ্যান, অনুমান ২-৩ ভরি ওজনের রুপার অলংকার, গায়ে মাখা ১৫-১৬টি সাবানসহ ৭০ হাজার টাকা, বাগদাহ গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আবুল কালামের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় অজ্ঞানপার্টি। যশোর জেলা ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ টিম গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পাটির ৫ সদস্যকে আটকসহ লুট করা অনেক মালামাল উদ্ধার করেছে। আটককৃতরা হলো অভয়নগর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মাসুদ মোল্লার পূত্র তরিকুল ইসলাম (২২) যে বর্তমানে কেশবপুর পৌর এলাকার সাবদিয়া গ্রামের নাজির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া, ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের আনিছুর বিশ্বাসের পূত্র জনি রহমান (২২), মনিরামপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত আকাম সরদারের পূত্র সাহিদুর ওরফে সাইদুল ইসলাম (৩৬), মনিরামপুর উপজেলার হালসা গ্রামের চান্দালী মোড়লের পূত্র ইসরাইল হোসেন (৩৫) ও কেশবপুরের বিষ্ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পূত্র সুমন হোসেন (২৫)। যশোর জেলা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে একজন একটি বাড়িতে লুট করতে গিয়ে অচেতন এক নারীর শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের গত বুধবার কেশবপুর থানায় দায়ের করা অজ্ঞানপার্টি কর্তৃক একটি লুটের মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের নিকট হতে লুটপাট কৃত মালামালের মধ্যে একজোড়া স্বর্ণের বালা ও কানের দুল, ২ ভরি রুপার অলংকার, একটি ভ্যানগাড়ি, একটি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইল, একটি সাবান ও চেতনা নাশক ওষুধমিশ্রিত হলুদের গুঁড়া উদ্ধার করে। এর মধ্যে জনি রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রানী তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।