ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক দিকগুলোর চর্চাই আমাদের মুক্তির পথ’

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক দিকগুলোর চর্চাই আমাদের মুক্তির পথ’

বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক দিকগুলো শুধু আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না, জীবনের সর্বস্তরে তা চর্চার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও মানসিকতার ইতিবাচক উন্মোচন সম্ভব। আসুন আমরা বেশি বেশি করে বঙ্গবন্ধুর গণমুখি ও জনগণের কল্যাণের জন্য জীবনব্যাপী অভিজ্ঞতা ও ঘটনাকে নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করি। গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-আলোচনা ও চর্চা’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আহ্বান জানান। ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। আরো বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চৌধুরী শহীদ কাদের, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোজাম্মেল বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক আলী ছায়েদ। একক বক্তৃতায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক দিকের আলোচনা ও চর্চা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আজকের সময়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের সংগ্রাম আর অর্জনের দিকগুলো যদি বেশি বেশি করে চর্চা করা যায়। তবে তা আমাদের জাতি হিসেবে আরো বেশি উপকৃত করবে। তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবসা ও রাজনীতিতে জড়ানোর ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ছিল কঠোর। আর সেই জন্যই তিনি সংবিধানের চার মূল নীতির মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার সংযোজন করেছিলেন। কেননা বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে এই উপমহাদেশের ধর্ম নিয়ে সংঘাত, রক্তঝরানো ও ব্যবসার যে কালো দিক প্রত্যক্ষ করেছিলেন, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার মহতী উদ্যোগ নেন।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ছিল কঠোর ও আপসহীন। তাই তিনি প্রকাশ্যেই দুর্নীতির জন্য মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে দায়ি করে বলতেন- আমার কৃষক দুর্নীতি করে না, আমার শ্রমিক দুর্নীতি করে না, আমার খেটে খাওয়া মানুষ দুর্নীতি করে না। আর্থিক অনিয়মই শুধু দুর্নীতি নয়, দুর্নীতিবাজদের সহায়তা করাও দুর্নীতির সামিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত