বগুড়া পৌরসভায় কোনো দুর্নীতির ছোঁয়া লাগেনি

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আজাহার আলী, বগুড়া

বগুড়া পৌরসভায় কোনো ধরনের দুর্নীতির ছোঁয়া লাগেনি বলে দাবি করেছেন পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। গতকাল শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বগুড়া পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদান ও অবকাঠামোসহ সামগ্রিক উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যায়-অনিয়মকে জিরো টলারেন্সে আনার নিমিত্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে পৌরসভার রাজস্ব আয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ সালে পৌরসভার রাজস্ব আয় ছিল ৪৭, ০৬, ৫৮, ৯২৪/- টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে পৌরসভার রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৭, ৪৩, ০১, ৬৪৩/- টাকা। গত আড়াই বছরে রাজস্ব আয় দিয়ে ৩৫ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। শহরের রাস্তা, ড্রেন, ডাম্পিং স্পট, ব্রিজ-কালভার্ট ইত্যাদি ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বগুড়া পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও মডেল শহর বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে পৌর পরিষদের সব কাউন্সিলর সহযোগিতা করছেন। তাদের সহযোগিতায় একটি আধুনিক ও উন্নত নগর হিসেবে গড়ার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছেন। বগুড়া পৌরসভা রাজস্ব খাতে যাবতীয় লেনদেন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে, জন্মনিবন্ধন ফি সরাসরি সরকারি খাতে, ই-জিপি পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়ে থাকে। ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নকশা অনুমোদন, পৌর এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জা, এতিমখানা, কবরস্থান, খেলার মাঠ, শ্মশান ঘাট, বিনোদন স্পট, ঈদগাহ মাঠ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিবন্ধী, দুঃস্থ, অসহায় মানুষদের সহযোগিতা প্রদান করা হয় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে। নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি সহজীকরণের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে অফিস কাম গুদাম ঘর ভাড়া নেয়ায় কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। হাট-বাজার ইজারার নীতিমালা অনুসারে ইজারা প্রদান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, রিকশা বা অটোরিকশা ইজারা নীতিমালা অনুসরণ করে সর্বোচ্চ দরদাতাকে প্রদান করা হয়ে থাকে। পৌরসভায় বরাদ্দকৃত টিআর পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক টিআর এর প্রকল্প তালিকা প্রস্তুতপূর্বক প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিসহ উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়, পরবর্তীতে জেলা কমিটিতে অনুমোদনের পর প্রকল্প কমিটি বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি সাবেক মেয়রের সময় অনুর্ভুক্ত হলেও দশ কোটি টাকা আত্মসাতের কথা বলা ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন বর্তমান মেয়র।

স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে আনার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবার ফলে এক স্বার্থান্বেষীমহল মেয়রসহ সবাইকে বেকায়দায় ফেলানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।