নীলফামারীর বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে লাভবান কৃষক

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী

এবার বস্তায় আদা চাষ করে লাভের আশা করছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কৃষকরা। বাড়ির পার্শ্বে পতিত জমি কিংবা অন্য ফসলের পাশে, সাথি ফসল হিসেবে আদা চাষে যেমন খরচ কম, তেমনি হবে বাড়তি আয়। জেলার কৃষি কর্মকর্তারাও বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন। গাছতলায়, বাড়ির আঙিনায়, এমনকি বাড়ির ছাঁদেও আদা চাষ হচ্ছে, অন্যান্য ফসলের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে করা যায় বস্তায় আদা চাষ। ইউটিউবে ভিডিও দেখে বস্তায় আদা চাষের আগ্রহী হন কিশোরগঞ্জের জুলেখা আক্তার। এরপর তিনি স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে বাড়ির পার্শ্বে করলা, বেগুন এবং কাঁচা মরিচের সঙ্গে শুরু করেন নতুন পদ্ধতিতে আদা চাষ। চাষের জন্য প্রথমে ছাই, জৈবসার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করেন তিনি। পরীক্ষামূলক ১২ শত বস্তায় মাটি ভরে আদার চারা রোপণ করেন। গাছ আর ফলন দেখে আগামীতেও এই পদ্ধতিতে আদা চাষের স্বপ্ন বুনছেন এলাকার চাষিরা। অপরদিকে বস্তায় আদা চারা রোপণ করেছেন রিয়া এগ্রো ফার্মেসী। সেখানে লিচু বাগানের পতিত জমিতে ৬ হাজার বস্তা আদা চারা রোপণ করেছেন তারা। সার-কীটনাশক, পরিশ্রম এবং রোগবালাই কম হওয়ায় লাভের আশা করছেন তারা। কিশোরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, অনাবাদি পতিত জমিগুলো বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে সর্বত্তম ব্যবহার উপযোগী। পাশাপাশি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে রোগ বালাইয়ের শঙ্কা।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, জেলায় এবছর ১ হাজার ৪১ হেক্টর জমিতে আদা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। আর বস্তায় আদা চাষ হয়েছে প্রায় ২১ হাজার। নতুন এই পদ্ধতিতে শুধু বস্তা প্রতি তিন কেজি হারে প্রায় ৬৩ মেঃ টন আদা উৎপাদন করা সম্ভব। বসতবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বস্তায় আদা চাষ।