শেরপুর সদর উপজেলার ১১নং বলাইচর ইউনিয়নের বলাইচর গ্রামের জালাল উদ্দীন ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। তিনি এবার তার সাড়ে চার বিঘা জমিতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ করে চিচিঙ্গার আবাদ করেছিল। সবেমাত্র পরিপক্ব হতে শুরু করেছে চিচিঙ্গা। এক সপ্তাহের মধ্যে পাইকারি বাজারে তুলবে তার চিচিঙ্গা। প্রতিদিনের মতো তিনি গতকাল রোববার ভোরে চিচিঙ্গা ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে নিজেদের খাওয়ার জন্য রোপণ করা লাউশাক তুলতে যায়। কিন্তু ক্ষেতের কাছেই গিয়ে দেখে সর্বনাশ হয়ে গেছে তার। প্রতিটি চিচিঙ্গা গাছের গোড়া কাটা। কে বা কারা কোন শত্রুতার জেরে এ গাছগুলো কেটে ফেলেছে তা তার মাথায় আসছে না। জালাল উদ্দিন তার চিচিঙ্গা গাছের এমন অবস্থা দেখে প্রায় অচেতন হয়ে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে ছুটে আসেন তার স্ত্রী, পুত্র ও স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশী। সবাই এসে গাছের হাল দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সবাই। গ্রামের মানুষও আফসোস আর ধিক্কার জানাতে থাকে সবজি গাছের সঙ্গে শত্রুতা দেখে। এদিকে জলাল উদ্দিন তার স্বপ্নের চিচিঙ্গা ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় চোখে-মুখে এখন অন্ধকার দেখছে। কারণ এ সবজি বিক্রি করে তার ঋণ শোধ করা কথা। কিন্তু অদৃশ্য শত্রুতার সে স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। এখন সে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান তিনি। এ বিষয়ে জালাল উদ্দিন জানায়, আমার বিরাট সর্বনাশ হয়ে গেল। আমার ঋণ শোধ করব কীভাবে তাই ভাবছি। আমি সন্দেহও করতে পারছি না, কে এই কাজ করেছে। আমি এ বিষয়ে থানায় মামলা করব। এদিকে তার স্ত্রী ও সন্তানরাও হাতাশ হয়ে পড়েছে তাদের সংসারের খরচসহ অন্যান্য কাজ সারবে কীভাবে। গ্রামবাসী জানায় শত্রুতা আছে মানুষের সঙ্গে ফসলের সঙ্গে এমন কাজ করা খুবই ন্যাক্কারজনক, আমরা এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দূষিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানায় তারা। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানায়, সবজি ক্ষেতের সঙ্গে শত্রুতার বিষয়টি খুবই জঘন্য একটি কাজ। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। এছাড়া ওই কৃষককে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
