রৌমারী বিল পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জামালপুর প্রতিনিধি

সম্প্রতি জামালপুরের রৌমারী বিল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। ওই সংবাদ নজরে এলে গত শনিবার বিকালে রৌমারী বিল সরেজমিন পরিদর্শন করতে যান জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদসহ জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা। রৌমারী বিল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, রৌমারী বিল অনন্য পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এ সময় রৌমারি বিলকেন্দ্রিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ বলেন, রৌমারী বিলের অপরূপ দৃষ্টিনন্দন ও অবারিত জলরাশি সবাইকে মুগ্ধ করে। দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রৌমারী বিলের মাঝে রাস্তাটি কয়েকটি কালভার্টসহ পাকা রাস্তা করা হবে। এর সাথে এখানে বসার জায়গা, পাবলিক টয়লেটসহ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সোনালু, জারুল ফুলের গাছ লাগানো হবে। যাতে দৃষ্টিনন্দন হয়। বিলের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপর থেকে দেখার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের চেষ্টা করা হবে। এই বিলে পাখির ও মাছের অভয়াশ্রম করতে পারি। একই সাথে বৈদ্যুতিক বাতিসহ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হলে নারী দর্শনার্থীদের জন্য সুবিধা হবে। সবশেষে জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ বলেন, ‘এসব করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ একসাথে কাজ করব। এর বাইরেও বড় ধরনের প্রকল্পের জন্য আমরা বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রাণালয়ের সাথে কথা বলে রৌমারী বিলকে বড় ধরনের একটি পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাব।’ জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাওগড়া ইউনিয়নের শেখ সাদী বলেন, গ্রামের বর্ষা মৌসুমে ৩০০ একর জমির এই বিল পরিণত হয় গরিবের টাঙ্গুয়ার হাওরে। এর সৌন্দর্য টানে ভ্রমণ পিপাসুদের। নির্মল বাতাস ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশের টানে প্রতিদিন বিলের পাড়ে ছুটে আসে জেলা ও জেলার বাইরের মানুষ। এছাড়া শহরের কোলাহল ও কর্মব্যস্ততায় যখন মন ও শরীর ক্লান্ত হয়ে উঠে, তখন সেই ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে শত শত শহরবাসী সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিড় করে রৌমারি বিলে।