মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন আদিবাসী নেতা

শেরপুরের আদিবাসী নেতা, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট লেখক প্রাঞ্জল এম সাংমা ‘মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। গত শনিবার রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ এর হলরুমে অনুষ্ঠিত এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাদার তেরেসার ১১৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের বিশেষ অবদানের জন্য ৪০ জনকে ‘মাদার তেরেসা সাইনিং পার্সনালিটি অ্যাওয়ার্র্ড ২০২৩’ প্রদান করা হয়। স্বদেশ সাংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি মীর হাসমত আলী গুণিজনদের মাঝে সম্মাননার ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। এ সময় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব প্রফেসর নুরজাহান বেগম এবং প্রধান আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অতিরিক্ত সচীব মো. মঈনুদ্দিন কাজল। অ্যাওয়ার্ড উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান শেষে কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে কবিতা চর্চা ও সমাজ কর্মে আদিবাসী সমাজে বিশেষ অবদানের জন্যে শেরপুরের প্রাঞ্জল এম. সাংমাকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। প্রাঞ্জল এম. সাংমা শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব আছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রীবরদী উপজেলা শাখার বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ-এর শ্রীবরদী উপজেলার শাখার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থাকার পাশাপাশি তিনি জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাহিত্য ও সাস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থেকে কাজ করে চলেছেন। ‘অরণ্য কুটির’ নামে তর একটি একক গ্রন্থ রয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি করে আসছেন। তিনি গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সম্মানিত সদস্য হিসেবেও রয়েছেন। প্রাঞ্জল এম সাংমার এ কৃতিত্বে শেরপুর গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক রফিক মজিদ এবং সাধারণ সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর আলম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।