ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কাজেই আসছে না কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ড

কাজেই আসছে না কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ড

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে কৃষি আবহাওয়া, নদ-নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত উন্নতমানের পরিষেবা ও নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছাতে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প’ বাস্থবায়ন করছে সরকার। তবে প্রকল্পটি দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কথা থাকলেও মাধবপুর উপজেলায় কৃষকের কোনো কাজেই আসছে না। কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিসের কেউ তাদের আবহাওয়া বিষয়ে কোনো পরামর্শ দেয় না। উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে স্থাপন করা কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ড, স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র (রেইন গেজ মিটার) রয়েছে। কিন্তু কৃষক কোনো বার্তা পায় না। সচল বোর্ডগুলোতেও নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করা হয় না। মাধবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন বাঘাসুরা, নোয়াপাড়া, বহড়া, বুল্লা, আন্দিউড়া ইউনিয়ন প্রকল্পের আওতায় স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র ও কৃষি আবহাওয়া তথ্য বোর্ড এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কিয়স্ক সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউপি ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছিল স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। আর ইউপি ভবনের দর্শনীয় স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার বোর্ড। বোর্ডগুলো এনালগ। হাত দিয়ে ঘুরিয়ে এর প্রাত্যহিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এই বোর্ডের মাধ্যমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়ের পূর্বাভাস, আলোক ঘণ্টাসহ ১০টি বিষয়ে তথ্য প্রকাশের ব্যবস্থা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী আগে ও পরের তিন দিনের কৃষিভিত্তিক আবহাওয়ার নানা তথ্য এই বোর্ডে হালনাগাদ থাকার কথা থাকলেও সেটা কোনো দিনই সচল ছিল না বলে কৃষকরা জানান। কোথাও কোথাও তথ্য বোর্ডের সংখ্যার ঘুঁটিও নেই। স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সেসব যন্ত্র খোয়া গেছে। কৃষক শৈলেন সরকার, শহিদ মিয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ড আদৌ আছে কি না, তা অনেকেই জানেন না। এ বোর্ডের উপকার কী, তাও অনেক কৃষক জানেন না। সরকার এত টাকা খরচ করে এমন একটা প্রকল্প বাস্থবায়ন করল, যা কৃষকের কোনো কাজে লাগে না। এমন বক্তব্য পাঁচটি ইউনিয়নের আরও ৪০ থেকে ৪৫ জন কৃষকের। আন্দিউড়া ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী সোহরাব হোসেন জানান, আমাদের এ যন্ত্রটি সচল নেই। স্থাপনের পর থেকেই এটি কাজ করে না। বাঘাসুরা ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী সালেহা বেগম বলেন, আমি যোগদানের পর থেকেই দেখতেছি নষ্ট হয়ে আছে। এটি কোনো রকম কাজই করে না। নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী সোহাগ মিয়া জানান, যন্ত্রটি স্থাপন আছে, তবে কোনোরকম কাজ করে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত