ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘর পেয়ে ঘরে ঘরে আনন্দ

ঘর পেয়ে ঘরে ঘরে আনন্দ

সারাদিন কায়িক পরিশ্রম শেষে এখন আর ফুটপাত বা অন্যের ঘরে ফিরতে হবে না। দীর্ঘ ৩০ বছর পর নিজের নামে তিনিই পেলেন জমির দলিল ও ঘরের কাগজ! তাই উচ্ছ্বাস যেন কমছে না লালভানুর (৭৫)। লালভানুর বাড়ি উপজেলার কালিদাস গ্রামে। নতুন পাওয়া ঘর ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে বললেন, আধাপাকা ঘরটি তার খুব পছন্দ হয়েছে। থাকার কক্ষের সঙ্গে রান্নাঘর। পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ভালো। বিদ্যুৎ আছে। পানি আছে। লালভানু বেড়বাড়ি কলাবাগান আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিনি খুব ভালোভাবে রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশের মতো সখীপুরেও আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মধ্যে নতুন ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। সখীপুরে মোট ২ শত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন।

বাড়ি পাওয়ার আনন্দে বেড়বাড়ি গ্রামের ভূমিহীন লাইলী বেগমের চোখে ডেকেছে আনন্দ অশ্রুর বান। ঘর পেয়ে কেমন লাগছে, জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, আমি ছেলে, নাতি ও বোনকে নিয়ে মানুষের জায়গায় কুঁড়েঘর তুলে থাকি। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমি জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাব। শেখ হাসিনার সরকার আমাকে ইটের ঘর দিবেন। এই বয়সে ইটের ঘরে থাকতে পারব। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি ঘর পেয়ে। দোয়া করি, শেখ মুজিবের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।

আকলিমা নামের আমতৈল আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক উপকারভোগী বলেন, আমার জায়গা-জমি ছিল না। শেখ হাসিনা ঘর দিছে, জমি দিছে। স্বামী-সন্তান নিয়্যা সুখে আছি। মনে হচ্ছে আমি যেন ‘মা’ শেখ হাসিনার বুকে রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি ঘরের জন্য ২ শতাংশ খাসজমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরের প্রতিটিতে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে। ঘরগুলোর পাশেই সবজি বাগান হচ্ছে। এই উপজেলায় ২০০টি পরিবারকে জমি ও ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বহেড়াতৈল ইউনিয়নের আমতৈল ২৭, যাদবপুর কলাবাগান ২৯, হাতিবান্ধা ইউনিয়নের কামালিয়া চালা ১৯, জামলহাটখুরা ১২, কুতুবপুর ৬, বড় মৌশা ১২ এবং একক ঘর ৯৩। প্রতিটি ঘরে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। পরে ১ লাখ ৯০ হাজার, পরে ২ লাখ ৪০ হাজার, ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০, বর্তমানে প্রতিটি ঘরের নির্মাণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলম বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাত বা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত