ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে ‘বড়লোক’ হতে গিয়ে প্রতারিত দুই হাজার মানুষ

কেশবপুরে ‘বড়লোক’ হতে গিয়ে প্রতারিত দুই হাজার মানুষ

যশোরের কেশবপুরে অনলাইন অ্যাপ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জের (এমটিএফই) মাধ্যমে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন, অন্তত দুই হাজার গ্রাহক। রাতারাতি ‘বড়লোক’ হওয়ার প্রলোভনে পড়ে গ্রাহকরা বিনিয়োগ করে সর্বস্ব হারিয়েছেন। এখন লোকলজ্জার ভয়ে তারা মুখ খুলছেন না। কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে এমটিএফই কার্যক্রম শুরু করে। জামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি প্রথমে এটি শুরু করেন। তিনি সাতক্ষীরার বাসিন্দা বললেও তার পুরো ঠিকানা কেউ জানেন না। ২ বছর আগে তিনি শহরের আবদুল ওহাব মার্কেটে একটি জুয়েলারির দোকান দেন। তার মাধ্যমে অনেকেই এমটিএফইতে বিনিয়োগ করেন। রাতারাতি বিপুল অর্থের মালিক হওয়া যাবে- এমন প্রলোভনে পড়ে কেশবপুরের বেকার যুবক, শিক্ষক, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এমটিএফইতে বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগকারীদের অনেকে লাভও পেয়েছেন। বর্তমানে এমটিএফইর অ্যাপটি বন্ধ আছে। অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। প্রতারণার শিকার একজন বিনিয়োগকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এটি অনলাইন ব্যবসা। অ্যাপের মাধ্যমে এমটিএফই ব্যবসা পরিচালনা করত। এতে গ্রাহক বাড়ানো খুব সহজ। কারণ, একজন গ্রাহক আরেকজন গ্রাহককে সদস্য করতে পারলে তিনি লাভবান হন। ৩০ থেকে ৪০ জন গ্রাহক করতে পারলে তিনি টিম লিডার বা সিইও হওয়ার সুযোগ পান। তখন তিনি নানা সুবিধা পান।

ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গ্রাহকদের মুখ না খোলার কারণ জানতে চাইলে একজন গ্রাহক বলেন, এমনিতেই টাকা খোয়া গেছে। তার ওপর অনেক রকমের ঝামেলা হতে পারে। লোকলজ্জারও ভয় আছে। কেশবপুরে দুজন টিম লিডার ওই প্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেল পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন- কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক সদরুল হক ও ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমান। কিন্তু সদরুল হক টিম লিডার নন বলে দাবি করেছেন। তিনি মোটরসাইকেল পাননি বলে জানান। অন্য টিম লিডার মাহাবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে পলাতক রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত