নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় দুই আসামির কারাদণ্ড

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন ও ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেন। দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলী ছিলেন মো. মকবুল হোসেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শিশু ধর্ষণ যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৫০) এবং শিশু অপহরণে সাজাপ্রাপ্ত নওগাঁ সদর উপজেলার চকচাঁপাই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (২৫)। আদালত সূত্রে জানা যায়- ২০১৯ সালের ৫ জুন ঈদের দিন দুপুর ২টার দিকে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের আট বছরের শিশুকে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে একই গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম তার শয়ন ঘরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুর বাবা একই দিন ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৪ জুন ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবণ করা হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য্য হলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি পূর্ব থেকেই জেলহাজতে থাকায় তাকে সাজা পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন। অপরদিকে- ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট নওগাঁ সদর উপজেলার চকচাঁপাই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন জোর করে মাদ্রসার ছাত্রী বারো বছরের নাবালিকা শিশুকে সিএনজিযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২০ আগস্ট নাবালিকার বড় ভাই থানায় মামলা করলে থানা কর্তৃপক্ষ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জনাকীর্ণ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার আসামি সুমন হোসেনকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।