ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মির্জাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মির্জাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১নং মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হাট-বাজার ইজারা লব্দের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ৮ ইউপি সদস্যের অনাস্থা প্রদানসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোল্লা মারুফ হোসেন গত ২৮/০৮/২৩ ইং তারিখ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭/০৮/২৩ ইং তারিখ উপজেলা থেকে হাট-বাজার ইজারা লব্দের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে পেয়ে সাধারণ হিসাব নম্বর ৪৩১৭***১৩২০ সোনালী ব্যাংক সুবিদখালী শাখায় জমা প্রদান করা হয়। ওই দিনই আবার দুইটি চেকের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩ লাখ ও ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান যাহা সরকারি নিয়মনীতির বাইরে। পরিষদের টাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অর্থের অনুকূলে ইউনিয়ন পরিষদের সভার মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরণ করে, সেখান থেকে নির্বাহী অফিসার প্রকল্পের প্রাক্কলন (ষ্ঠিমিট) দেবেন এবং দরপত্র আহ্বান করে পরিষদ সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান করে ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড কমিটি ও তদারকি কমিটি গঠন করবেন। দুই কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বিল উঠােেনা যাবে। এছাড়া কাজ না করে সরাসরি টাকা উত্তোলন বেআইনি। কাজ তো দূরের কথা, কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেননি তিনি। ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে, সরাসরি পরিষদের টাকা উত্তোলন করেছেন যাহা আত্মসাতের সামিল বলে মনে করছেন অভিযোগকারী। উল্লেখ্য, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করা ও নানান বেআইনি কর্মকাণ্ড অনিয়মের বিরুদ্ধে ৮ ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রদান করেন। এ নিয়ে অত্র ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নানান গুঞ্জন চলছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কপি এখনও হাতে পাইনি গতকাল ২৮ আগস্ট যেসকল অভিযোগ কপি রয়েছে, তার মধ্যে যদি এধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েমা হাসান বলেন, গত ২৮/০৮/২৩ টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ কপি পাননি। এর অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য পরিষদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ১নং মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল করলে তার ভাই পরিচয় দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান একটু ব্যাস্ত ও ঝামেলায় আছেন পরে কথা বলবেন। এরপর একাধিকবার কল করলেও ফোনকল রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত