কেন্দুয়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভাস্কর চন্দ্র তালুকদারের বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তিনি জাতীয় শোক দিবসে প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানসহ সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। উপজেলা পরিষদের চলতি মাসের মাসিক সভায় এসব অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করা হয়। উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কখন কি করছেন আমরা তা কিছুই জানি না। তিনি সম্প্রতি একটি স্কুলে মিল্ক ফিডিং কার্যক্রম চালু করেছেন; কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা আমাদের কাউকে রাখেননি। ভাস্কর চন্দ্র তালুকদারের স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা রকম অনিয়মের মধ্য দিয়েই চলছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ পশু হাসপাতালে এসে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না সেবাগ্রহীতারা। হাসপাতালে মিলছে না সরকারি ওষুধ। গবাদি পশুর বীজ দিতে হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। নেই জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন। শুধু তাই নয়, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অবহেলার কারণে এক কৃষকের একটি গরুর (ষাঁড় বাছুর) মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কেন্দুয়া উপজেলা। এ উপজেলায় ৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার মধ্যে কৃষক পরিবার রয়েছে ৭০ হাজারেও বেশি। এসব কৃষক পরিবারের গবাদি পশুর চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল কেন্দুয়া প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। কিন্তু এ কার্যালয়টিতে নানা রকম অনিয়মের কারণে এখানে কৃষকরা তাদের গবাদি পশুর চিকিৎসা নিতে এসে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত, পাচ্ছেন না প্রত্যাশিত সেবা। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভাস্কর চন্দ্র তালুকদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি অনিয়ম- স্বেচ্ছাচারিতা ও কর্তব্যে অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কমিটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করেই আমি প্রোগ্রাম করে আসছি। সরকারি প্রোগ্রামে থাকি না, এটা ঠিক না। শোক দিবসের প্রোগ্রামেও আমি ছিলাম।

স্থানীয়ভাবে কেউ কারো সঙ্গে মনোমালিন্য থাকলে সেটা আমার উপর চাপিয়ে দিলে তো হবে না। আমার এখানে কোনো অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা নেই। হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বীজ দিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ফি নেওয়া হয়। অফিসে ভেটেরিনারি সার্জনসহ জনবল সংকট রয়েছে। এরপরও আমরা যারা আছি সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কতটুকু করতে পারছি, তা মানুষই ভালো বলতে পারবে।