ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে পানি

তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে পানি

উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমলেও বেড়েছে কাউনিয়া পয়েন্টে। আর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। হুমকির মুখে পড়েছে বসতভিটাসহ অন্যান্য স্থাপনা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। তিস্তার বাম তীরে সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বসতবাড়ি ও বেশ কিছু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি ঘরে এখনো পানি রয়েছে। এখনো পানিতে ডুবে আছে আমন ধানসহ অনেক ফসলি জমি। নদী চর ও নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা জেগে উঠলেও জমে আছে কাদামাটি। ফলে এখনো যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। কিছুটা উঁচু বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে জমে আছে কাদামাটি। ফলে তাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, বৃষ্টিপাত কম হওয়া আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি কম আসায় দ্রুত কমেছে তিস্তা নদীর পানি। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। এখনো বেশ কিছু এলাকার ঘরবাড়িতে নদীর পানি রয়েছে। তবে আপাতত লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কোনো শঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ রাখছি। জেলায় দুর্যোগকালীন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা ইউএনও এবং পিআইওর মাধ্যমে তা বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত