ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীতে ল্যাম্পি স্কিন রোগের প্রকোপ

নীলফামারীতে ল্যাম্পি স্কিন রোগের প্রকোপ

নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক হারে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদিপশু গরু। এরই মধ্যে ওই রোগে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে। ভ্যাকসিনের অভাবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা কিছুতেই যাচ্ছে না। প্রতিদিন আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ও সুপরামর্শের অভাবে গরুর মৃত্যু হওয়ায় ক্ষুদ্র খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে ক্ষুদ্র খামারিরা। লাম্পি স্কিন ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নীলফামারীর গোটা জেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে। এ বিষয়ে ক্ষুদ্র খামারি মিলন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, গত একমাস ধরে গরুর শরীরে লাম্পি স্কিনের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এলাকার পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে গরুটির চিকিৎসা নিতে থাকি এবং উপজেলা পশু অফিসের মাধ্যমে জানতে পারি ক্ষত স্থানে কীভাবে ধৌতকরণ করতে হবে। জেলার ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানীর ব্যাপারীটোলা গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমার গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, কীভাবে চিকিৎসা করব, সেটা ভেবে পাচ্ছি না। পল্লি পশু ডাক্তারের দ্বারা চিকিৎসা করেও কোনো সুফল পাইনি। গরুর সারা শরীরে গুটি বসন্তের মতো হয়ে গেছে, গরু কোনো কিছু খায় না শুধু চোখ বন্ধ করে থাকে। গরুটি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। এ বিষয়ে নীলফামারী রুহামা এ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ডা. রাশেদ আলী শাহ্ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, লাম্পি স্কীন হলো গরুর ভাইরাসজনিত রোগ, শরীরে গুটি বসন্তের মতো হয়, এই রোগ নির্মুলে যে ভ্যাকসিন রয়েছে, তা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, তবুও খুব দামে, তাই লাম্পি স্কিন দেখা দিলে হালকা এন্টিবায়োটিক ও জ্বরের ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে। প্রাণিসম্পদের সদর উপজেলা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশা, মাছির কামড়ে আক্রান্ত হয়ে থাকে এই লাম্পি স্কিন রোগ। তবে আগের চেয়ে পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো, চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে ভ্যাকসিনের সরবরাহ চেষ্টা চলছে, কিছুদিনের মধ্যে সরকারিভাবে ভ্যাকসিন আসবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত