ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পর্যটকদের হাতছানি দেয় গোসাইস্থল পদ্মবিল

পর্যটকদের হাতছানি দেয় গোসাইস্থল পদ্মবিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সিনাই নদীতীরের গোসাইস্থল পদ্মবিল। ভাসমান পদ্মের রূপশোভা দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ ও সৌন্দর্যপিপাসুরা ছুটে আসছেন। চোখজুড়ানো এই সৌন্দর্য সবাইকেই বিমোহিত করছে। কসবার গোসাইস্থল পদ্মবিল ভ্রমণপিপাসুদের নতুন ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। উপজেলা শহর থেকে বাড়াই গোপীনাথপুর চণ্ডীদোয়ার হয়ে যেতে হবে গোসাইস্থল পদ্মবিল। পদ্মবিলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ছোট, মাঝারি নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতি ঘণ্টা ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। নৌকায় উঠলে মাঝিরাই পুরো পদ্মবিল ঘুরিয়ে দেখাবেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্তৃত জলরাশির বুকে ফুটে আছে চোখজুড়ানো পদ্ম ফুল। যত দূর চোখ যায় সবুজের সঙ্গে মিশে হাতছানি দিচ্ছে জলরাশির পদ্ম আর পদ্ম। এখানকার মনভোলানো দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। তবে বিলে যাওয়ার উপযুক্ত সময় হিসেবে সকালে না হয় বিকাল বেছে নিতে হবে। হোগলাবন, কচুরিপানার মধ্য দিয়ে ছোট ডিঙিনৌকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরে বেড়াতে আর পছন্দের ছবি তুলতে পারেন। মেতে উঠতে পারেন সেলফি উৎসবে। পদ্মপাতার জলে বিলিয়ে দিতে পারেন নিজেকে। সঙ্গে সামান্য রোদ আর মেঘ-বৃষ্টির খেলা হলে তো কথাই নেই। বিলে ফুটে থাকা অজস্র পদ্ম ছবির মতো সাজানো। বিলটির আয়তন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর হলেও ৪০-৫০ হেক্টরে ফোটে পদ্ম ফুল। বাকি অংশে রয়েছে হোগলাবন, কচুরিপানা ও শেওলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বন্ধু এবং ছোট ভাইবোনদের নিয়ে পদ্মবিলে ঘুরতে এসেছি। নগরজীবনের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে প্রকৃতির মাঝে বেড়াতে আসা। বিলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে খুব ভালো লাগছে। যে কেউ এখানে পরিবার, আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসতে পারেন।’ মনির আহমেদ এসেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক কারণে ঢাকায় থাকি। গোসাইস্থল বিলে পদ্ম ফুল ফুটেছে, তাই বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি। খুব ভালো লাগল এই সৌন্দর্য দেখে।’ স্থানীয় লোকজন ও মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরে ৩ মাস বিলে পানি থাকে, তখন পদ্ম ফোটে। এই সময়টাতে অনেকে ঘুরতে আসে। তখন তাদের উপার্জনও ভালো হয়। বছরের বাকি সময় অন্যান্য কাজ করেন তারা।

সৌন্দর্য দেখে আরও বেশ কয়েকজন ভ্রমণপ্রেমী মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তাদের মন্তব্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এই এলাকা রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে পর্যটনের সম্ভাবনা দেখা দেবে। গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘গোসাইস্থল পদ্মবিল এলাকা পর্যটকবান্ধব করতে রাস্তার উন্নয়নে আবেদন করেছি। সন্ধ্যার পর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য গ্রাম-পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত