ফল বিক্রি করে দরিদ্রতা জয় করতে চায় নব কুমার

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. সফিকুল আলম দোলন, পঞ্চগড়

নবকুমার দাস অদম্য এক দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের নাম। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোদা পৌর শহরের থানাপাড়ার মেধাবী দরিদ্র ছাত্র নব কুমার দাস দরিদ্র্যতাকে জয় করে প্রথমশ্রেণিতে এমএ পাস করেছেন। সে সম্প্রতি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে প্রথমশ্রেণি পেয়ে মাস্টার্স পাস করেছে। নব কুমার ২০১৯ সালে জিপিএ-৩.২৮ পেয়ে অনার্স পাস করেন। ২০১৩ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৪.১৯ ও ২০১৫ সালে ৩.৫০ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এখন তার লক্ষ্য বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ভালো একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার। দরিদ্র পরিবারের তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় নব কুমার। তার বাবা একজন দিনমজুর। টানাপড়নে বাবার এ সামান্য আয়ে সংসার চলে না। লেখাপড়ার খরচ জোগানো বাবার জন্য কষ্টকর। এজন্য সে নিজের অদম্য প্রতিভা নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে এবং বাবা ও ভাইবোনদের আর্থিকভাবে সাহায্য করতে একটি ফলের দোকান শুরু করে। সে বোদা পৌর শহরের নিউ মার্কেটের সামনে ফুটপাতে ফল বিক্রি করে সংসার ও লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে শত প্রতিকুলতায় যুদ্ধ করে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করতে চায় নব কুমার। এ ব্যাপারে নব কুমার বলেন, সততা ও ন্যায়নৈতিকতা ধরে রেখে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি। দারিদ্র্যতা আমার অহংকার, কষ্ট করে বড় হতে চাই এবং দরিদ্র সমাজে আলো ছড়াতে চাই। নব কুমারের লেখাপড়ার রেজাল্ট শুনে তার বাবা দেবেন দাস খুবই খুশি। নব কমারের বাবা বলেন, তার ছেলে নিজে দোকান করে পড়াশোনা চালাচ্ছে, পাশাপাশি নিজের চেষ্টা ও অন্যের সহায়তা করে এতদূর আসতে পেরেছে। সারাদিন ফলের দোকান করে গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করত। এই সাফল্য আমার একার নয়। পরিবার, শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ীদের, যারা আমাকে সবসময় উৎসাহ জুগিয়েছেন, দিকনির্দেশনা দিয়ে পাশে থেকেছেন। আমি তাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ভালো কিছু করতে চাই।