ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কাজে আসছে না ৫ কোটি টাকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট

কাজে আসছে না ৫ কোটি টাকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট

মাধবপুর পৌরসভায় বাসাবাড়িতে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নিমিত্তে নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যানটি কোনো কাজে আসছে না। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০ পৌরসভার শ্যামলীপাড়ার কিছুটা উত্তরে স্টেডিয়ামের পূর্বপাশে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ (ডিপিএইচই) দেশের ৪০টি পৌরসভায় একসঙ্গে গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যাস্ট দ্বিতীয় ধাপের (ফেজ-২) আওতায় মাধবপুর পৌরসভায়ও প্ল্যান্ট নির্মাণকাজে হাত দেয়। ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও বিশুদ্ধকরণের পর ৪৫০ ঘনমিটার ধারণক্ষমতার সুরিসর ওভারহেড ট্যাংকে (রিজারভয়ার) সংরক্ষণ করে পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌরবাসীদের আবাসিক স্থাপনায় আয়রণমুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যেই এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হলেও ৮ মাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পৌরসভাকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যানটি বুঝিয়ে দিলেও পৌরসভা এটি ব্যবহারের ন্যূনতম উদ্যোগও না নেওয়ায় ২৫ হাজার পৌরবাসীর কোনো কাজেই আসছে না এ প্ল্যান্ট। ঘণ্টায় ২ লাখ লিটার পানি পরিশোধন ক্ষমতার এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পৌরবাসীকে পানি সরবরাহ করার মতো পাইপলাইন সংযোগ পৌরসভায় নেই। পাইপলাইন স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা ও উদ্যোগও নেই। এরই মধ্যে প্ল্যান্টের ৩টি গভীর নলকূপের মধ্যে দুটি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল হক জানিয়েছেন। বাকি একটি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পৌরসভার বাসিন্দাদের সুপেয় পানির সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম পৌরসভায় বসবসরত মোট লোকসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষকে গভীর নলকূপের পানি সরবরাহের দাবি করলেও তার এ দাবিকে অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিছু নির্ভরযোগ্য সূত্র। সূত্রমতে, পৌরসভার পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ মানুষকেও পানি সরবরাহের সক্ষমতা মাধবপুর পৌরসভার নেই। পৌরমেয়র হাবিবুর রহমান দাবি করেন পাইপলাইনে লিকেজের কারণে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে চাইলেও পৌরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছেন না। তিনি জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মেইনটেইন্যান্স খরচ বাবদ পৌরসভা প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা গচ্ছা দিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাধবপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মানুষের জন্য পৌরসভার উদ্যোগে স্থাপিত ৩টি গভীর নলকূপ থাকলেও বাসাবাড়িতে পানি সরবরাহের জন্য পৌরসভার নিজস্ব কোনো পাইপলাইন নেই। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভিন জানান, ২০২২ সালের ২৮ জুন ৫ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি মাধবপুর পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত