তালায় প্রকল্পের টাকা যাচ্ছে পকেটে

জনদুর্ভোগ চরমে!

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শাহীন গোলদার, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদরে মেলাবাজার এলাকায় কপোতাক্ষ নদে ভয়াবহ ভাঙনে বাইপাস পাকা রাস্তাসহ ভাঙন সংলগ্ন এলাকা ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক দুটি প্যাকেজে ৫৬ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু সপ্তাহ পার না হতেই পাইলিংসহ পাকা রাস্তার সিংহভাগ নদীগর্ভে চলে গেছে। অতিসত্বর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোনো সময় রাস্তা, মন্দিরসহ তিনতলা বাড়িটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় এলাকাবাসী। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কপোতাক্ষ নদে মেলা বাজার এলাকার ভয়াবহ ভাঙনের থেকে গুরুত্বপূর্ণ পাকা রাস্তাসহ মন্দির ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য আপৎকালীন জরুরি প্যকেজে-১ এর মাধ্যমে গাছ দিয়ে পাইলিং ও মাটি দিয়ে ভরাট করার জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মেসার্স তানিয়া এন্টারপ্রাইজ কেশবপুর নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভাঙন রোধে ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে আরো জানায়, কপোতাক্ষ নদের ভয়াবহ ভাঙন থেকে পাকা রাস্তাসহ মন্দীর ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য আবারও আপদকালীন জরুরি প্যকেজে-২ বালির বস্তার ডাম্পিংয়ে ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানিয়া এন্টারপ্রাইজকে ২৭ লাখ টাকায় ৭ হাজার ২০০ বালুর বস্তা ডাম্পিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে, যার কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আব্দুল মতিন বলেন, আপৎকালীন জরুরি প্যকেজের-১ পাইলিং ও মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ করেছেন। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই পাইলিংসহ পাকা রাস্তাটি নদীতে ডেবে গেছে। এখন আপৎকালীন জরুরি প্যাকেজের-২ এর মাধ্যমে ডাম্পিংয়ের করার কার্যাদেশ পেয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে ভাঙন এলাকায় ৫০০ বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। বালুর বস্তা ভরাটের কাজ চলছে আগামী ১৫ দিনের ভেতর বাকি বস্তাগুলো ফেলে ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিরুল ইসলাম জানান, তালা উপজেলার মেলাবাজারের সন্নিকটে কপোতাক্ষ নদের তীরে ভাঙন রোধে আপৎকালীন জরুরি প্যাকেজের আওতায় প্রথমে ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গাছ ও বাঁশ দিয়ে পাইলিং করলেও সেটা টেকেনি। একই জায়গায় আবারও আপৎকালীন জরুরি প্যাকেজের ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ হাজার ২০০ বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন বস্তায় বালু ভরা হচ্ছে। এই কাজ শেষে আমরা ওজন করে নির্দেশনা দিলে সেলাই করে বাঁধ দেয়া হবে। এছাড়া প্রকল্প মনিটরিং-এর জন্য এমপি সাহেবের প্রতিনিধি মইনুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জয় সরকার বলেন, আমাদের কমিটিতে রাখা হলেও কাজের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি এমনকি ইস্টিমেটও দেয়া হয়নি। শুধু একদিন বালুর বস্তা গণনার জন্য জন্য তাদের ডাকা হয়েছিল।