ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কাউখালীতে প্রকল্পে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

কাউখালীতে প্রকল্পে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

কাউখালীতে গ্রামীণ রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম এলসিএস প্রকল্পে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ৩ ইউপি চেয়ারম্যান। এলজিআরইডির গ্রামীন রাস্তাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমে দুস্থ, দরিদ্র, স্বামী পরিত্যাক্ত অসহায় মহিলাদের কাজের নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত জুন মাসে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১৫ জন মহিলা কর্মী গোপনে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগকারীরা জানান, চলতি অর্থ বছরের জুন মাসে গোপন আত্মসাতের মাধ্যমে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রদান করেন উপজেলার প্রকৌশলী মো. সাকায়েত হোসেন। কোনো প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই উপজেলা সার্বেয়ারের সহোযোগিতায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেন। ইউনিয়নগুলো হলো- ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন, ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়ন ও ৩নং কাউখালী সদর ইউনিয়ন। মহিলারা যখন কাজে যোগদান করেন তখন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ জানতে পারে তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। তবে কাজে যোগদান করা কর্মীদের নাম পরিচয় ঠিকানা এখনো, তারা জানতে পারেনি। নিয়ম অনুযায়ী এই নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলা প্রকৌশলী যাচাই-বাছাই করে অসহায় ও দুস্থ, স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের দৈনিক বেতনে নিয়োগ করবেন। এ ব্যাপরে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ২নং আমরাজুড়ী ইনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি ও ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ইউনিয়েনে কর্মী নিয়োগ হয়েছে আমাদেরই জানানো হয় না। উপজেলা প্রকৌশলী একাই কর্মী নিয়োগ করেন। বিষয়টি ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, কর্মী নিয়োগে তথ্য গোপন করা হয়েছে যার কারণে সঠিকভাবে যাদের নিয়োগ পাওয়ার কথা তারা পায়নি। কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানতে চাইলেও তিনি নিয়োগের বিষয় অস্বীকার করেছেন। অথচ মাঠ পর্যায় এদের কাজ করতে দেখে জানা যায় যে, কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যে কারণে সন্দেহ জাগে এখানে মোটা অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে অফিস চলাকালীন সময় নিয়োগ বাতিল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন তিনি। উপজেলা প্রকৌশলী জানান, আগে এলসিএস-এর কর্মী নিয়োগ করা হয়ছে। তখনকারের অপেক্ষামাণ কর্মীদের তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে কাউকে জানাবার কথা নয়। উৎকোচের বিনিময় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত