হাত বাড়ালেই মিলছে আধুনিক ধান ভাঙানোর মেশিন

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙানোর কাজ করছেন যুবকরা। কৃষকের ঘরে উঠেছে পর্যাপ্ত ফসল। দীর্ঘ ৪ মাসের পরিশ্রমের ফলন ভালোভাবে তুলতে পেরে কৃষকরাও বেশ খুশি। এখন ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর পর চাল করার জন্য ঘরের পুরুষের ওপর নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে না। বেঁচে যাচ্ছে সময় ও অর্থ। বর্তমানে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ ও হার্ভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে কাটা ও ঝাড়ার কাজ করা হয়। পুরো কাজ মেশিনে করায় অর্থ যেমন সাশ্রয় হয়েছে, তেমনি সময়ও বেঁচে গেছে অনেক। এই আধুনিক যন্ত্রপাতি সহজতর করে দিয়েছে কৃষকের কাজ। যা দেখে অনেক কৃষকই এখন নিশ্চিন্ত। শুকানো ধান ভাঙাতে গৃহস্থদের এখন আর আগের মতো কষ্ট করতে হয় না। আগে ধান ভাঙানোর মেশিন দূরে হওয়ায় তা বহন করতে লাগত বাড়তি খরচ। তবে এখন গ্রামাঞ্চলে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরি করা ধান ভাঙার মেশিনের ফলে তাদের আর বাড়তি খরচ করতে হয় না সময়ও বেঁচে যায় অনেকটা। তাই আধুনিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় ধান ভাঙানোর জন্য গৃহস্থদের হাট-বাজার কিংবা মেইল বাড়িতে এখন আর যেতে হচ্ছে না। ঘরে বসেই পাচ্ছেন ধান ভাঙার সুবিধা। পাশাপাশি ধান ভাঙতে লোডশেডিং কিংবা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়তে হতো গৃহস্থদের। মাধবপুর উপজেলার পৌরসভা সহ ১১টি ইউনিয়নের প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙানোর কাজ করছেন ধান ভাঙানো শ্রমিকরা। এতে দরিদ্র ঘোচানোর পাশাপাশি বাড়তি অর্থ আয় করছেন মাধবপুর উপজেলার এসব শ্রমিকরা। গ্রামের শ্রমিকরা স্থানীয় প্রযুক্তিতে একটি পাওয়ার ট্রিলার মেশিনের সঙ্গে ১টি হলার যোগ করে নিজেদের উদ্যোগে ধান ভাঙার মেশিন তৈরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙার কাজ করছেন।

মাধবপুর উপজেলার হরিশ্যামা গ্রামের গোপেন্দ্র দাশ বলেন, দীর্ঘদিন বেকার থাকায় অনেক ঘুরেছি। কাজকর্ম ছিল না। পরে আমার ছেলেদের পরামর্শে ধান লাগানোর মৌসুমে পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে জমি চাষ এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান ভাঙানোর কাজ করে আসছি। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মামুন হাসান বলেন, গৃহস্থরা এখন ধান শুকাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠছেন। সে সঙ্গে এখন চলছে ধান ভাঙার কাজও। যাদের ধান ভাঙার প্রয়োজন তারা যোগাযোগ করলে মেশিন নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ভাঙার কাজ করা হয়।