ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭০৪ মায়ের স্বাভাবিক ডেলিভারি

বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭০৪ মায়ের স্বাভাবিক ডেলিভারি

গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফরা। এ অঞ্চলের গর্ভবতী মায়েরা দিনের পর দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে আগ্রহী। গত আট মাসে ৭০৪টি বাচ্চা নরমাল ডেলিভারিতে প্রসব করানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার। বর্তমানে সব প্রসূতি ও তাদের নবজাতকরা সুস্থ আছেন। তারি ধারাবাহিকতায় নরমাল ডেলিভারি টিমকে কেক কেটে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ মিলে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে গত জানুয়ারি মাসে ৮১টি, ফেব্রুয়ারিতে ৮০টি, মার্চ মাসে ৭৯টি এপ্রিল ৯৩টি, মে মাসে ৮৩টি, জুন মাসে ৮৫টি, জুলাই ৯৯টি এবং এর মধ্যে গতমাসে ১০৪টিসহ গত আট মাসে ৭০৪টি নরমাল ডেলিভারি করিয়ে প্রায় শতভাগ সফল হয়েছেন। এরই মধ্যে হাসপাতালে এসে নরমাল ডেলিভারি করানোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। অন্যদিকে এ আট মাসে প্রসব পূর্ববর্তী (এএনসি) সেবা নিয়েছে ১ হাজার ৯৮৩ জন এবং প্রসব পরবর্তী (পিএনসি) সেবা নিয়েছে ৮১০ জন।

এছাড়াও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ওআরটি কর্নার, এএনসি ও পিএনসি এবং কেএমসি কর্নার চালুর মাধ্যমে হাসপাতালটিকে শিশুবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানপ্রসবের উদ্যোগ সফলতা লাভ করায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

সিজারের নামে বাণিজ্য, দালালচক্র এবং অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতি মায়েদের রক্ষায় এবং নিরাপদে নরমাল ডেলিভারি করাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার নেতৃত্বে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফরা টিমওয়ার্ক শুরু করেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানপ্রসব করতে প্রসূতিদের উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণায় তারা বিভিন্ন কৌশলও কাজে লাগিয়েছেন। এজন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রসূতি নারীদের বিনামূল্যে ‘প্রসূতি কার্ড’ দেয়া হয়। এরপর ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে কাউন্সেলিং আর ফ্রি চেকআপ। প্রসূতি কার্ড ও নরমাল ডেলিভারি করাতে মাঠ পর্যায়ের সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী, শিক্ষক, চেয়ারম্যান-মেম্বার, ইমাম ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন এনজিওর স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছানো হয় প্রসূতি মায়েদের কাছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরাও নিজেরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কাউন্সিলিং করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত