ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে আবারো অজ্ঞানপার্টির কবলে তিন ব্যবসায়ী

কেশবপুরে আবারো অজ্ঞানপার্টির কবলে তিন ব্যবসায়ী

যশোরের কেশবপুরে আবারো অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়েছেন তিন ব্যবসায়ী। কোনো রকম থামছে না এ অজ্ঞানপার্টি। গত আগস্ট মাসে একাধিক পরিবার অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েছেন। এক পরিবারের নারীর শ্লীলতাহানিও ঘটিয়েছে এ পার্টি। উপজেলাজুড়ে আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, উপজেলার চিংড়া বাজারে সার্বজনিন কালীমন্দিরের পাশে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গুরুপদ দের স্ত্রী বানু বালা, ছেলে বিধান দে ও বিমলের বাড়িতে গত রোববার রাতে অজ্ঞানপার্টি সবাইকে অজ্ঞান করে বাড়ির আলমারি ভেঙে টাকা, স্বর্ণের গহনাসহ বিভিন্ন মালামাল ও বাড়িতে থাকা মোটরসাইকেল অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা নিয়ে গেছে। গত সোমবার সকালে তাদের ঘুম না ভাঙলে প্রতিবেশীরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত ও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এরা তিনজনই মুদি ও কাপড় ব্যবসায়ী বলে জানান ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় অজ্ঞানপার্টি একাধিক বাড়ির সদস্যদের অচেতন করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এরমধ্যে কোমরপোল গ্রামের আশরাফ আলী খাঁর ছেলে বিল্লাল হোসেনের বাড়ি থেকে গত ৮ আগস্ট একজোড়া কানের দুল, একজোড়া বালাসহ নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা, জাহানপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন দাসের পুত্র গোপিনাথ দাসের বাড়ি থেকে গত ১৬ আগস্ট তারিখে একটি অটোভ্যান, অনুমান ২-৩ ভরি ওজনের রুপার অলংকার, গায়ে মাখা ১৫-১৬টি সাবানসহ ৭০ হাজার টাকা, বাগদাহ গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আবুল কালামের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় অজ্ঞানপার্টি। যশোর জেলা ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞানপার্টির পাঁচ সদস্যকে আটকসহ লুট করা অনেক মালামাল উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলো অভয়নগর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মাসুদ মোল্লার পূত্র তরিকুল ইসলাম, যে বর্তমানে কেশবপুর পৌর এলাকার সাবদিয়া গ্রামের নাজির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া, ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের আনিছুর বিশ্বাসের পূত্র জনি রহমান, মনিরামপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত আকাম সরদারের পূত্র সাহিদুর ওরফে সাইদুল ইসলাম, মনিরামপুর উপজেলার হালসা গ্রামের চাঁন্দালী মোড়লের পূত্র ইসরাইল হোসেন ও কেশবপুরের বিষ্ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পূত্র সুমন হোসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত