মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ তিন

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, নেত্রকোনা

নেত্রকোনার হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আব্দুল কুদ্দুছ (৩৮) নামের এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই কারণে অনিল দাস (৪৫) ও দুলাল তালুকদার (৬০) নামের দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। গত রোববার দিবাগত রাত তিনটা থেকে ৪টার দিকে জেলার কলমাকান্দা ও মোহনগঞ্জ উপজেলার হাওরে এই ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত ভোররাতে কলমাকান্দা উপজেলার সোনাডুবি হাওরে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায় ৭-৮ জন জেলে। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় ছয় ব্যক্তি সাঁতরিয়ে তীরে উঠলেও আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) ও অনিল দাস (৪৫) নামে দুই জেলে নিখোঁজ হন। পরে গতকাল সোমবার সকালের দিকে আব্দুল কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তবে গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনিল দাসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোর থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে মোহনগঞ্জ উপজেলায় ডিঙাপোতা হাওরে রাতে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন দুলাল তালুকদার (৬০) নামে এক জেলে। রাতে হঠাৎ ঝড়ের কারণে নৌকা ডুবে গেলে নৌকায় থাকা দু’জনের মধ্যে একজন সাঁতরিয়ে তীরে উঠে আসেন। এ সময় দুলাল তালুকদার পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। তাকে উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল ভোররাতের আচমকা ঝড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও অসংখ্য গাছপালা উপরে গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা উপজেলায়। এ সব উপজেলায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হওয়া ছাড়াও বিদ্যুতের অনেক খুঁটি ভেঙে গেছে অথবা হেলে পড়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ছন্দু বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে এলাকার অনেককেই খোলা আকাশের নিচে বাস করতে দেখা গেছে। কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) ও মোহনগঞ্জ থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।