ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলন

পানির অভাবে দুশ্চিন্তায় কৃষক
কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলন

যশোরের কেশবপুরে সোনালি আঁশ পাট চাষে ভালো ফলন হওয়ায় স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো বৃষ্টির কারণে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৯০ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে পাটের আবাদ। কিন্তু খালবিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রীমা আক্তার বলেন, কেশবপুরে চলতি বছর ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ১০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ২৮০ মেঃ টন। গত বছর এ উপজেলায় পাট আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৯০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। এবার জেআরও ৫২০ জাতের ৪ হাজার ৯৭৫ হেক্টর, রবি-১ জাতের ১২ হেক্টর ও দেশি গুটি জাতের ৫ হেক্টর জমিতে আাবাদ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে মজিদপুর, ত্রিমোহিনী, সাতবাড়িয়া, মঙ্গলকোট, হাসানপুর, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি এলাকায় খেত থেকে পাট কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খালবিলে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহা গ্রামের কৃষক ওলিয়ার রহমান জানান, ‘গত বছর বাজারে পাটের দাম বেশি দেখে এবার ৪ বিঘা ১০ কাটা জমিতে বীজ বুনেছিলাম। ভালো ফলন হওয়ায় খেতে বিঘা প্রতি ১৭ থেকে ১৮ মণ পাট হতে পারে বলে আশা করছি। গত রোববার সকাল থেকে খেতের পাট কাটা শুরু করেছি। পাট আবাদ করতে এ পর্যন্ত মোট ৫২ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫০০ টাকা করে বিক্রি করতে পারলে ভালোই লাভবান হবেন বলে জানান। কিন্তু খালবিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে কষ্ট হচ্ছে বলেও তিনি জানান। একই গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম মন্টু বলেন, ইউরিয়া ১২ টাকা ছাড়িয়ে ২৮ টাকা, পটাশ ১৪ টাকা থেকে ২২ টাকা, ড্যাব ১৬ টাকা থেকে ২২ টাকাসহ সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বীথি বলেন, এ বছর ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। গত বছর পাটের বাজারমূল্য বেশি পাওয়ায় এ উপজেলার চাষিরা পাট আবাদে ঝুঁকেছেন। অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো বৃষ্টির কারণে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও আশা করছি কৃষকরা পাট বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন। তবে খালবিলে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত