ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেধড়ক বেত্রাঘাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী

বেধড়ক বেত্রাঘাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী

পাবনার সাঁথিয়ায় এক মাদ্রাসার ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে টেবিলের নিচে মাথা দিয়ে বেত ও স্কেল দিয়ে বেদম পিটিয়ে জখম করেছে ওই মাদ্রাসার হেফজ শিক্ষক মাওলানা ইকবাল হোসাইন। বর্তমানে ওই শিক্ষার্র্থী আশঙ্কাজন অবস্থায় সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় মামলা না করে এলাকায় বসে একটা বিচার করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাদ্রাসার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়াকাহন বাইতুল উলুম নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ শিক্ষার্থী আসাদুল (৮) জন্ডিস হওয়ার কারণে তিন দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় ওর সহপাঠী সজিবকে দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে পাঠায় মাদ্রাসার শিক্ষক। আসাদুল মনে করেছে, সিয়াম টাকা পাবে এজন্য এসেছে। পরে আসাদুলের মা ১০০ টাকা দিয়ে দেয় সিয়ামকে দেয়ার জন্য। আসাদুল ১০০ টাকা নিয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সিয়ামকে দেয়ার জন্য গেলে সেখানে হুজুর ইকবাল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হুজুর আসাদুলকে জিজ্ঞেস করেন, সে কেন এতদিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত। উত্তরে আসাদুল অসুস্থের কথা জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওকে হাত ধরে টেনে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে পিটমোড়া করে বেঁধে, মাথা টেবিলের নিচে দিয়ে বেদম মারপিট করেন। আসাদুলের মা শোভা খাতুন জানান, আমার ছেলের জন্ডিস ধরা পড়ায় তাকে আমরা যেতে দিইনি। আমি যদি ওই সময় দ্রুত না যাই তাহলে হয়তো আমার ছেলে মারা যেত। কোনো মানুষ হয়ে এভাবে কোনো শিশুসন্তানকে মারতে পারে? তিনি বলেন, ওই হুজুরের মনে হয় কোনো সন্তান নেই। থাকলে এভাবে অমানবিক নির্যাতন করতেন না। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশারফ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষার্থীর যাবতীয় চিকিৎসার দায়ভার নেয়া হয়েছে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। সাঁথিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটিকে যেদিন নিয়ে আসে সেদিন তার অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। এখন তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত