ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নেত্রকোণায় ঘোড়ার গাড়ির কদর বাড়ছে

নেত্রকোণায় ঘোড়ার গাড়ির কদর বাড়ছে

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এই যুগে বর্তমানে পল্লি এলাকার কৃষকের বিভিন্ন পণ্য পরিবহণে ঘোড়া ও গরুর গাড়ির চাহিদা প্রায় ফুরিয়ে গেছে। তবে নেত্রকোণায় অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় কদাচিৎ এখনো ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। সম্প্রতি এমন দৃশ্যই দেখা গেছে কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের একসময়ের প্রসিদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র গোগবাজার এলাকায়। এ অঞ্চলে এখনো ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ির বেশ কদর রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে ধানবোঝাই করে বেশ কয়েকটি ঘোড়ার গাড়ি গোগবাজারে নিয়ে আসতে দেখা যায়। ধান নিয়ে আসা এসব ঘোড়ার গাড়ির চালকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে এসব ধান ক্রয় করেছেন স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা। আর ব্যবসায়ীদের এ ধান গ্রামের কৃষকের বাড়ি থেকে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে আমাদের ঘোড়ার গাড়িগুলো ভাড়ায় ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের পণ্য বা মালামাল ভাড়ায় পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত এই ঘোড়াগুলো বেশিরভাগই ব্যক্তি মালিকানাধীন। সাধারণত দুই চাকার একটি গাড়ি তৈরি করতে একটি ঘোড়া ব্যবহার করা হয়। পরে সেই গাড়িতে পরিবহণ করা হয় বিভিন্ন পণ্য। প্রতিদিন গাড়ি চালালে ৫০০ থেকে ১ হাজার বা আরো বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। গাড়ি চালালে ঘোড়ার খাবার বাবদ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হয়। তবে যান্ত্রিক গাড়ির চেয়ে ঘোড়ার গাড়িতে পরিবহণ খরচ অনেক কম। তাই আমাদের এখানে কদরও একটু বেশি। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, আমাদের দেশের গ্রামীণ জনপদের কাঁচা-মেঠো পথে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে গরু ও ঘোড়ার গাড়ির বহুল প্রচলন পরিলক্ষিত হতো। বর্তমানে দেশের গ্রামীণ জনপদের বেশিরভাগ কাঁচা ও মেঠোপথকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ইঞ্জিনের স্পর্শে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী অনেক যানবাহনই পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে হাতেগোনা দুয়েকটি গ্রামে ঘোড়ার গাড়ি দেখা গেলেও তা জরাজীর্ণ। শিশু-কিশোরদের নির্মল আনন্দের উৎস হিসেবে ঘোড়ার গাড়ি সংরক্ষণে আমাদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত