ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমড়ার ভালো ফলনেও চিন্তা

আমড়ার ভালো ফলনেও চিন্তা

পুষ্টিকর ফল আমড়ার চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে। মৌসুমে বাজার ছাড়াও পথে পথে প্রচুর বিক্রি হয় এই আমড়া। এটি একটি অর্থকরি ফল হিসেবেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ফলে বেড়ে গেছে আমড়ার চাষ ও উৎপাদন। পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলায় চলতি মৌসুমে গত ২ বছরের তুলনায় আমড়ার ফলন ভালো; কিন্তু আমড়া চাষিদের মুখে সেই হাসির রেখাটি বিস্তৃত নয়। কৃষি অধিদপ্তরও বলছে, এবার কাউখালীতে আমড়ার বাম্পার ফল হয়েছে। বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলাসহ স্বরুপকাঠী ও নাজিরপুরে আমড়া আবাদ হয় বেশি। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে আমড়ার চাষ হয়। ওই সব আড়তে বেপারীদের কাছ থেকে আমড়া কিনে ঢাকা, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, এলাকায় চালান করা হয়। সেখানে আড়তদাররা বিভিন্ন মোকামের খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারদের কাছে আমড়া বিক্রি করে। কাউখালীর বাশুরী গ্রামের ইমাম হোসেন বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের অধিক মুনাফার কারণে আমড়া উৎপাদনকারী গৃহস্থরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেও আমড়া বেচাকেনার মুনাফার পুরোটা ঢুকে না চাষিদের পকেটে। সে কারণেই আমড়া চাষিরা বাম্পার ফলনে খুশি হয়েও যেন খুশি নন। বেপারিরা গৃহস্থদের কাছ থেকে এক বস্তা আমড়া ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় কিনে কাউখালী মোকামে বিক্রি করে থাকেন ১২ থেকে ১৪০০ টাকায়। কাউখালী থেকে ঢাকায় বিক্রি হয় ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। কাউখালীর আড়তদাররা বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভাদ্র মাসের প্রথম থেকেই আমড়ার ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। ফলন বেশি হওয়ায় প্রতিদিন দেড়শ থেকে ২০০ মণ আমড়া বস্তা ভরে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে। আড়তদাররা আরও জানান, কাউখালীতে আমড়ার আড়ৎ খুলে সেখান থেকে প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে আমড়া সংগ্রহ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকাররা ট্রাক, পিকআপে লঞ্চেও ঢাকা, চাঁদপুর নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত