ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিতাসে নিষিদ্ধ চায়না জালের অবাধ বিচরণ

তিতাসে নিষিদ্ধ চায়না জালের অবাধ বিচরণ

কুমিল্লার তিতাসের নদী-নালা ও খাল-বিল ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ চায়না জালে। আর এসব জাল দিয়ে প্রাকৃতিক উৎসের মাছ নিধন করছেন স্থানীয়রা। উপজেলার সর্বত্র স্বল্প পানিতে দেখা যাচ্ছে এই জালের অবাধ বিচরণ। এমন কোনো মাছ নেই, যা এই জালে ধরা পড়ে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাকৃতিক উৎসে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে নিষিদ্ধ চায়না জালে। এ জালে মা, পোনা থেকে শুরু করে ধরা পড়ছে সব ধরনের মাছ। উপজেলার সর্বত্র এ জাল ব্যবহার করছেন মৎস্য শিকারিরা। উপজেলার সাতানী, মজিদপুর, জগতপুর, নারান্দিয়া, কলাকান্দি, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সারি সারি চায়না জাল দেখতে পাওয়া যায়। লোহার বর্গাকৃতি রডের সঙ্গে পেঁচিয়ে বিশেষভাবে তৈরি এই ঘন জালটি মাছের জন্য সর্বনাশা ফাঁদ। এটি ৫২ থেকে ৭০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। আর জালটি মাছের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই জালে যদি মাছের ডিম প্রবেশ করে তাহলে সেই ডিমও আটকা পড়ে। এ জালের ছিদ্র ছোট হওয়ায় ছোট-বড় কোনো মাছ বের হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে মাছের বংশ বিস্তারে বিঘ্ন ঘটে। উপজেলার কড়িকান্দি, সৎমেহের বিবি (ভূঁইয়ার বাজার), জগতপুর বাজার, আসমানিয়া বাজার, গোপালপুর বাজার, মাছিমপুর ও বাতাকান্দি বাজারে প্রতিদিন ছোট পোনা মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। এসব মাছের অধিকাংশই ডিমওয়ালা। বাজারের আগত একাধিক মাছ বিক্রেতা জানান, আমরা অধিকাংশ গরিব মানুষ। সংসার চালানোর জন্য সারা রাত জেগে মাছ ধরি। ভালো-মন্দ বুঝি না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অস্বীকার করব না। তবে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট চালানো সম্ভব নয়। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ জাল বেচাকেনার বিরুদ্ধে বাতাকান্দি ও আসমানিয়া বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত