ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক

পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক

‘আগে পাট বিক্রি করে ইলিশ কিনতাম। এখন সেই ইলিশও হারিয়ে গেছে, পাটের দামও নেই’- কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামের পাট চাষি আব্দুল কুদ্দুস। উপজেলার সতিহাটে পাট বিক্রি করতে এসে আশানুরূপ দাম না পেয়ে একথা বলেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে পাটের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন নওগাঁর চাষিরা। চলতি বছরে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে পাটের ফলন যেমন কম হয়েছে, তেমন বেড়েছে খরচ। পাট জাগ দেয়া নিয়েও বিপাকে পড়তে হয় তাদের। বর্তমান বাজারে পাটের যে দাম, সেই দাম নিয়ে শঙ্কার মধ্যে দিন পার করছেন চাষিরা। চাষের খরচ তোলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা। দাম কমে যাওয়ার জন্য চাষিরা সিন্ডিকেটকে দুষছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেছেন, তাদের কাছে এখনো গত বছরের পাট রয়েছে। মিল মালিকদের কাছে পাট বিক্রি করলে ঠিকমতো টাকা দেয় না। এজন্য তারা পাট কিনছেন কম। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় চলতি বছরে ৫ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫৬০ হেক্টর। গত ৫ বছরে জেলায় পাটের আবাদ কমেছে প্রায় ১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাট চাষের সময় এবার নানা বিড়ম্বনার শিকার হন চাষিরা। প্রথমত, বীজ বপনের সময় খরা হওযায় ঠিকমতো চারা গজায়নি। আবার চারা গজালেও পাতলা হয়েছে। এতে ব্যাহত হয়েছে পাটের ফলন। অথচ শ্রমিকের বাড়তি মজুরি, সেচ, বীজ, কীটনাশক, সারের মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। পাট কাটার সময় পানির অভাবে অনেক কৃষককে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সঠিক সময় জাগ দিতে না পারায় নষ্ট হয় পাটের রং। সম্প্রতি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সতিহাট গিয়ে দেখা যায়, এ হাটে ভোর থেকেই প্রান্তিক চাষিরা তাদের উৎপাদিত পাট ভ্যান-সাইকেলে করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত