কেশবপুরে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও পরিচালক উধাও

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালক আবদুল মজিদ গ্রামের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় চার হাজার সদস্যের সঞ্চয়ের অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ সঞ্চয়ের টাকা ফিরে পেতে ওই অফিসে ধরনা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী রাব্বি হাসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে কেশবপুর পৌরসভার পাশে আতাউর রহমান কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় গড়ে ওঠে সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি। যার নিবন্ধন নম্বর যশোর- ৫৯৭/৯৯। এর পরিচালক ছিলেন উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে আবদুল মজিদ। তার সঙ্গে অন্যান্য পদে ছিলেন, বাঁকাবর্শী গ্রামের কামরুজ্জামান, কেশবপুর সদরের ইউসুপ আলী ও গড়ভাঙ্গা গ্রামের আশিকুজ্জামান। এরপর পরিচালক আবদুল মজিদ ইউনিয়ন পর্যায়ে রাব্বি হাসান, আলমগীর হোসেন, শামীমা বেগম, বিউটি দাশ, শিউলী মালা, শহিদুল ইসলামকে নিয়োগ দেন। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা জামানত নেয় পরিচালক আবদুল মজিদ। এসব কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ওই সমিতির সদস্য করে তাদের কিস্তিতে সংসারের প্রয়োজনীয় মালামালসহ ফার্নিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সমিতির সদস্য করে মোটা অঙ্কের টাকা সঞ্চয় আদায় করে সমিতির অফিসে জমা দিতেন। সমিতির সঞ্চয় আদায়কারী রাব্বি হাসান বলেন, চলতি বছরের ৭ জুলাই সকালে আমরা অফিসে গিয়ে দেখতে পাই অফিসে তালা ঝুলানো। এ সময় সমিতির পরিচালক আবদুল মজিদের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়ের অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন। প্রতিদিন সমিতির সদস্যরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। সদস্যরা সমিতির পরিচালকের কোনো হদিস না পেয়ে টাকার জন্য আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছেন। এমতাবস্থায় আমরা পেড়েছি মহাবিপাকে। সমিতির পরিচালক আবদুল মজিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ওই সংস্থার অডিট সম্পন্ন করা হয়। অডিটে সংস্থার সম্পদ দেখানো হয়েছে দশ লাখ টাকা। সমিতির পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে নোটিশ করা হয়। তার অফিস বন্ধ থাকায় নোটিশ ফেরত এসেছে। পুনরায় তার বাড়ির ঠিকানায় নোটিশ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে পত্র দেয়া হয়েছে।