ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাইবান্ধায় জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি!

গাইবান্ধায় জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি!

গাইবান্ধার কৃষক রোপণ করেছেন রোপা আমন ধানের চারা। এরই মধ্যে নজর কাড়ছে সবুজের সামাহার। অধিক ফলন ঘরে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ক্ষেত পরিচর্যাসহ সার প্রয়োগ। সেই সঙ্গে পোকার আক্রমণে যেন ফসলের ক্ষতি না হয়, সেজন্যে স্থাপন করা হচ্ছে পার্চিং। অর্থাৎ, গাছের ডাল বা কঞ্চি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই পার্চিংয়ে বসিয়ে ক্ষতিকারক পোকা দমন করছে ঝাঁক-ঝাঁক পাখি। সম্প্রতি গাইবান্ধার ধানখেতে দেখা গেছে পার্চিং বসানোর চিত্র। এরই মধ্যে একদল ফেচকা পাখি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে এই পার্চিংয়ে। ওত পেতে এসব পাখি দমন করছে ক্ষতিকারক পোকা, যার কারণে ধীরে ধীরে এই পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোপা আমন ধানের জমিতে পোকামাকড় দমনে পার্চিং পদ্ধতি একটি সফল প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে সহজে ক্ষতিকারক পোকা নিধন ও আর্থিক সাশ্রয় হওয়ায় কৃষকের মধ্যে এই পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে। এতে কীটনাশক ছিঁটিয়ে পোকা দমনের প্রয়োজন হয় না। এখন প্রকৃতির মুক্ত পরিবেশে উড়ন্ত পাখি যেন কৃষকের পরম বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পলাশবাড়ীর কৃষক আনজারুল মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার খরা ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বোরো আবাদে খরচ বেশি হচ্ছে তার। তাই কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কিটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং স্থাপনের মাধ্যমে পাখি দিয়ে পোকামাকড় দমন করছেন। গোবিন্দগঞ্জের নজরুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জমিতে পার্চিংয়ে বসে বসে পাখিরা পোকা খায়। এতে করে ফসল ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছি। তেমনি আর্থিক সাশ্রয়ও হচ্ছে। পলাশবাড়ীর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমা সিদ্দিকা বলেন, মাজরা পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। একদম পরিবাশেবান্ধব পদ্ধতি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত