অভয়নগরে কয়লাসহ নছিমন ও ভ্যান জব্দ

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে অনুমতি ছাড়া কাঠ-গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ১১৩টি অবৈধ চুল্লি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। জব্দ করা হয়েছে ৬০ বস্তা কয়লাসহ একটি নছিমন ও ভ্যানগাড়ি। এ সময় চুল্লি মালিকদের পাওয়া যায়নি।

গত শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের আমতলা ও সোনাতলা গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। কয়লা তৈরির চুল্লির আগুন নিভিয়ে ১৫ জন শ্রমিক দিয়ে হাতুড়ি-শাবল দ্বারা চুল্লিগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান। এলাকাবাসীরা জানান, স্থানীয় ছোট মিয়ার ৮টি, হাবিবুর রহমানের ৯টি, তসলিম মিয়ার ৫টি, আনারুল মোল্যার ৪টি মনির শেখের ৬টি, আলার ৫টি, ইয়াছিন শেখের ৪টি, কামরুল ফারাজীর ৭টি, ফারুকের ১০টি, রকশেদের ১৫টি, জিয়া মোল্যার ১১টি, নুর ইসলাম ওরফে ছোট মোল্যার ৬টি, হারুন মোল্যার ১০টি, কবির হোসেন শেখের ৮টি ও তৌকির মোল্যার ৫টি চুল্লি পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থাপন করে। যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রতিটি চুল্লিতে ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ৮-১০ দিন পোড়ানোর পর চুল্লি থেকে কয়লা বের করা হয়। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। যে কারণে এলাকায় শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে উঠতি ফসলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অবিলম্বে এসব অবৈধ চুল্লি মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান জানান, দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ১১৩টি অবৈধ চুল্লি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ৬০ বস্তা কয়লাসহ একটি নছিমন ও ভ্যানগাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে চুল্লি মালিকদের পাওয়া যায়নি। তবে তালিক তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।