হাসপাতালের ছাদে ঔষধি গাছের বাগান

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলার মতো এখন ঠাকুরগাঁওয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ছাদ বাগান। সাধারণত নিজেদের বাড়ির ছাদে শখের এই বাগান তৈরি করে মানুষ। এবার দেখা গেল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের ছাদে শোভা পেয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও ভেষজের শতাধিক গাছ। আর এসব গাছ সম্পর্কে জানতে ও দেখতে ভিড় করছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। এতে ঔষধি গাছ সম্পর্কে জেনে উপকৃত হচ্ছেন তারা। দেখা যায়, হাসপাতালটির পুরাতন ভবনে আনুমানিক আড়াই হাজার ফিটের ছাদজুড়ে অ্যালোভেরা, পাথরকুচি, উলটকম্বল, অন্তমূল, মিল্কবুশ, নিশিন্দাসহ প্রায় ৪০ প্রজাতির ভেষজ লাগানো হয়েছে। এছাড়া আপেল, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আম, জাম, আমরাসহ ফলজ মিলে মোট শতাধিক গাছ লাগানো হয়েছে। ফলের গাছগুলো রোপণের বছর না যেতেই কিছু কিছু গাছে ফলও ধরেছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা জানান, এই প্রদর্শনী বাগান থেকে ঔষধি গাছ সম্পর্কে জেনে পরে তা সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিয়ে অনেকে সুস্থও হয়েছেন। এতে ফলজ ও ভেষজ বাগান করতে উদ্বুদ্ধও হচ্ছেন তারা। রিয়া নামে ত্বকের চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী বলেন, আমার মুখের ত্বকে অনেক দাগ ও ব্রণ ছিল। তাই ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে আসলে এখানকার চিকিৎসক আমাকে ছাদে করা প্রদর্শনী বাগানটি দেখান ও অ্যালোভেরা গাছের রস ব্যবহার করতে বলেন। অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করার ফলে এখন আমার মুখের ত্বকের দাগ চলে গেছে। পীরগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার এলাকার যুবক দীলিপ কুমার রায় বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছি। তাই হাসপাতালে এলাম। এখানকার চিকিৎসক আমাকে ঔষধ দিয়েছেন। পাশাপাশি ছাদ বাগানে পরিদর্শন করিয়ে পাথরকুচি গাছ দেখিয়ে দেয় ও ওই গাছের রস খেতে বলেন। একই উপজেলার রাহুল রায় চিকিৎসা নিতে এসে ও বাগান দেখে বলেন, আমার প্রচুর সর্দিকাশি ছিল।