ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুবর্ণচরে অসময়ে টমেটো চাষে সফল কৃষক নুর উদ্দিন

সুবর্ণচরে অসময়ে টমেটো চাষে সফল কৃষক নুর উদ্দিন

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চর ওয়াপদা ইউনিয়নে অফ সিজনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন চর ওয়াপদা গ্রামের কৃষক মো. নুর উদ্দিন। টমেটো মূলত শীতকালীন ফসল। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন টমেটো বারি-৮ অসময়ে চাষ করে উচ্চমূল্যে বাজারজাত করছেন নুর উদ্দিন। যখন বাজারে উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশি এবং দাম ও বেশ চওড়া। এতে করে বর্ষাকালে তার মৌসুমি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে। কৃষক মো. নুর উদ্দিন জানান, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ ও উপসহকারী কৃষি অফিসার মুদিনুল হকের সহযোগিতা এবং পরামর্শে পলিশেড পদ্ধতিতে টমেটো আবাদে উৎসাহিত হন। মৌসুমের শুরুতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসএসিপি প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ও আন্তঃপরিচর্যা খরচ পেয়ে ৫ শতক জমিতে পলিশেড পদ্ধতিতে বারি-৮ জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেন তিনি। কৃষি অফিস থেকে সঠিক সময়ে সার, বীজ, ও কীটনাশক পাওয়ায় তিনি সফলভাবে চাষাবাদ শুরু করেন ও সফলতা পান। বাজার মূল্য অনুযায়ী তিনি ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তাছাড়া তার সাফল্য দেখে এলাকার বিভিন্ন কৃষক প্রতিনিয়ত তার প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন ও ভবিষ্যতে এই ফসল চাষাবাদের আগ্রহ প্রকাশ করছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ জানান, গত রবি মৌসুমে সুবর্ণচর উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়। এটি শীতকালীন ফসল হিসেবে শীতকালে অধিক পরিমাণে আবাদ হলেও সাধারণত কৃষক তার ন্যায্যমূল্য পায় না। মৌসুম শেষে তা ৫ থেকে ১০ টাকায় নেমে আসে যা অফ সিজনে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুবর্ণচরের পক্ষ থেকে আমরা গ্রীষ্মকালীন টমেটো আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত