ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কালীগঞ্জে জনদুর্ভোগ

ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৪০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ

ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৪০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ

গ্রামীণ খানাখন্দে ভরা মাটির একটি কাঁচা রাস্তা পাকা করে দিলেন উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান মিলন। ৪০০ মিটার রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত না হওয়ায় ঝিনাইদের কালীগঞ্জ উপজেলার ৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মহিষাডেরা গ্রামের মাঝপাড়ার মানুষগুলোকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। ২৪টি গ্রাম নিয়ে নিয়ামতপুর ইউনিয়ন গঠিত। এরমধ্যে মহিষাডেরা একটি অন্যতম জনবসতিপূর্ণ গ্রাম। এই গ্রামের ৩ হাজারের অধিক ভোটার রয়েছে এবং প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস এখানে। গ্রামের এই সংযোগ সড়কটি স্থানীয় জনসাধারণের গলার কাঁটায় পরিণত হয়। জনগণের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান মিলন রাস্তাটি চলাচলের উপযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি শুধু একজন পেশাদার ঠিকাদারই নয়; স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদলের কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব এবং সাবেক নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ধানের শীষের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহাবুবুর রহমান মিলন নিজ উদ্যোগে এবং অর্থায়নে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৪০০ মিটার রাস্তা ম্যাকাডমকরণ করে চলাচলের উপযুক্ত করে দেন। বিরোধীদলীয় একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের এই নেতার মহতি এই উদ্যোগকে স্থানীয় জনগণ এবং সুধীসমাজ সাধুবাদ জানিয়েছেন। সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়, মহিষাডেরা গ্রামের মাঝ পাড়ার ফায়জুর রহমান ফিরোজ খার বাড়ি থেকে আফজালের বাড়ির অভিমুখে ৪০০ মিটার কাঁচা রাস্তা ম্যাকাডামকরণের কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। সংযোগ স্থাপনকারী এই রাস্তাটি ম্যাকাডাম করার ফলে আশপাশে বসবাসকারী তিনশত থেকে চারশত মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হলো। গ্রামের মধ্যে ফিডার এই রাস্তাটি মূল সড়কে উঠার জন্য গুরুত্ব বহন করে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় কয়েক হাজার লোক প্রতিনিয়ত এই রাস্তাটি ব্যবহার করছেন। নানা শ্রমজীবী ও পেশাজীবী মানুষ এবং শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদের জন্য রাস্তাটি চলাচলের উপযুক্ত হওয়ার কারণে অনেক বেশি উপকার হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

মহিষাডেরা গ্রামের ভ্যানচালক মোক্তার হোসেন জানান, রাস্তাটি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান মেম্বাররা কেউ এটি চলাচলের উপযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। মিলন ভাই চেয়ারম্যান মেম্বার না হয়েও নিজ টাকা খরচ করে আমাদের জন্য এই রাস্তাটি করে দিয়েছেন। এতে করে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। কাঁচা এই রাস্তাটির কারণে আগে যে কি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, এই এলাকার মানুষের, তা বলে বোঝানো যাবে না। আমার মতো ভ্যানচালকদের ভ্যান নিয়ে বৃষ্টির সময় বাড়ি থেকে বের হওয়া এবং ঢোকা খুব কষ্ট হতো। এখন আর ওই কষ্ট আমাদের থাকল না।

কালীগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গসংগঠন যুবদলের উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলনের কাছে নিজ অর্থায়নে ৪০০ মিটার রাস্তা ম্যাকাডামকরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতি করার সুবাদে ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমার একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি ইউনিয়নবাসীর সামাজিক ও সামষ্টিক ব্যাপারগুলোর খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় মহিষাডেরা গ্রামের মানুষের জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ৪০০ মিটার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার জানামতে ইউনিয়নের বেশ কিছু এরকম কাঁচা রাস্তা রয়েছে, যা চলাচলের অনুপযুক্ত। ইচ্ছা আছে ওইসব রাস্তাগুলো ধারাবাহিকভাবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমার সামর্থ্য অনুযায়ী চলাচলের উপযুক্ত করে দেবো, ইনশাআল্লাহ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত