বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট

চলতি মৌসুমি বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার ৯টি উপজেলায় সবজি খেতে ও মৎস্য ঘেরের পারে বিপুল পরিমাণ শসার চাষ হয়েছে। প্রতিদিন এই জেলা থেকে শতাধিক ট্রাকে শসা যাচ্ছে দেশের বড় শহরগুলোতে। নিজ বাড়ির সামনে বসে ন্যায্যমূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে শসা বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরাও।

কৃষকরা জানান, শসা একটি স্বল্প সময়ের সবজি। বিজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফল আসে। ফল আসার পরে ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত গাছে ফল দেয়। পরিচর্যা এবং প্রয়োজনীয় সার দিলে এক একর জমি থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৯ মণ পর্যন্ত শসা বিক্রি করা যায়। বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলার বাগেরহাট কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৯টি উপজেলার চিতলমারী মোল্লাহাট ফকিরহাট মংলা রামপাল বাগহাট কচুয়ায় মোরেলগঞ্জ ও শরনখোলা উপজেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি শসা উৎপাদন হয় মোরেলগঞ্জ উপজেলায়। চিতলমারী উপজেলার উমাজুরি গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এক একর জমিতে শসার চাষ করেছি। গেল ১০ দিন থেকে বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মণ পর্যন্ত শসা বিক্রি করি। দামও মোটামুটি ভালো পাচ্ছি।’

চিতলমারী উপজেলার অশোকনগর গ্রামের বিশ্বজিত বড়াল বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ১০০ মণের উপরে শসা বিক্রি করছি। আমার কৃষিতে ও মাছের ঘেরে নিয়মিত আটজন শ্রমিক কাজ করেন। সব খরচ দিয়ে এ বছর শসায় ১০ লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে মনে করছি।’

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার বলেন, ‘বাগেরহাট জেলায় সবজি আবাদের উপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার সময়মত বীজ, সার ও ঋণ প্রবাহ সচল রেখেছেন। যার ফলে এবছর বিভিন্ন সবজি বিশেষ করে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলায় ৯০ হাজার টন শসার ফলন হবে। আমরাও কৃষকদের সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা ও বাজারজাতকরণের পরামর্শ দিয়েছি। যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে, সেজন্য আমাদের সব ধরনের চেষ্টা রয়েছে।