ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেরপুরের বনাঞ্চলে সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে বাহারি রঙের গোলাপ

শেরপুরের বনাঞ্চলে সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে বাহারি রঙের গোলাপ

শেরপুরের বনাঞ্চলে পতিত জমিতে সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে বাহারি রঙের গোলাপ। জেলায় প্রথমবারের মতো নানা রঙের গোলাপ চাষ শুরু করেছেন মোহাম্মদ আলী নামে এক যুবক। স্থানীয়রা বলছেন, গোলাপ চাষ শুরুর পর বেকার যুবকরা পেয়েছেন কর্মসংস্থানের পথ। তেমনি পতিত পড়ে থাকা জমি চাষের আওতায় আসায় ভূমি মালিকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। অন্যদিকে উচ্চ মূল্যের ফসল গোলাপ আবাদ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বাগানের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী জানান, জেলার ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া এলাকার সন্ধ্যাকুড়া গ্রামে ১৫০ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন তার স্বপ্নের গোলাপ বাগান। গত ১৫ বছর ধরে ঢাকার শাহবাগ, উত্তরা, ধানমন্ডি এবং গুলশানে নানা ধরনের ফুলের ব্যবসা করতেন তিনি। এক সময় চিন্তা করেন নিজ গ্রামের বনাঞ্চলে পতিত পড়ে থাকা জমিতে গোলাপ চাষ করবেন। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চুক্তিভিত্তিতে বাৎসরিক সাড়ে ৩ লাখ টাকায় ৮ বছরের জন্য জমি লিজ নেন। গোলাপ বাগানের নাম রাখেন জননী ফ্লাওয়ারস গার্ডেন। নিজের পুঁজি এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ে এক পরিচিতজনের মাধ্যমে দুই দফা চাইনিজ ও থাই জাতের ১৮ হাজার গোলাপের চারা সংগ্রহ করেন। পরে জমিতে জৈব সার, টিএসপি ও ইউরিয়া ব্যবহার করে চারা রোপণ করেন। আর চারা রোপণের ১ মাস পর থেকে ফুল আসা শুরু করে, তবে বিক্রি উপযোগী ফুল পাওয়া যায় ৪ মাস পর থেকে। প্রায় ৭ মাস বয়সি ওই বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে সাদা, লাল, হলুদ ও পিংক কালারের বাহারি গোলাপ। স্থানীয় পাইকার আছর আলী এবং মোকছেদ বলেন, উৎপাদিত গোলাপ স্থানীয় বাজার ছাড়াও ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় বিক্রি হচ্ছে। দৈনিক গড়ে প্রায় ১৮০০ থেকে ২০০০ পিস ফুল সংগ্রহ করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত