ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুলিশের উদ্যোগে বিচারক, পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীরা মুখোমুখি

পুলিশের উদ্যোগে বিচারক, পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীরা মুখোমুখি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিচারক, বিচারপ্রার্থী ও পুলিশকে মুখোমুখি করলেন জেলা পুলিশ। বিচার প্রার্থীদের নানাবিধ সমস্যা, অভিযোগ ও তাদের হয়রানির কথা শুনতে সব অংশীজনের সমন্বয়ে জেলা পুলিশ আয়োজন করে ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক।’ গত রোববার বিকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভূরুঙ্গামারী ও কচাকাটা থানার প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তির বক্তব্য শুনেন এই ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক।’ এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক (প্রশাসন) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শেখ মো. মুজাহিদুল ইসলাম, বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুড়িগ্রাম মো. আলমগীর কবির শিপন। এছাড়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়ার সহকারী জজ) শারমিন আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার, নাগেশ্বরী সার্কেল, সুমন রেজা, সহকারী পুলিশ সুপার ভূরুঙ্গামারী সার্কেল, মোর্শেদুল হাসান প্রমুখ। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। প্রধান অতিথি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবীর মামলাকে নিরুৎসাহিত করে বলেন, ভাই-ভাই, আত্মীয়ে-আত্মীয়ে, যে মায়ার বন্ধন এখন আর তা দেখা যায় না। কোনো ঘটনা ঘটলেই প্রথমেই মামলা নাকরে আত্মীয়দের নিয়ে সমঝোতা করা, মীমাংসা নাহলে পরবর্তীতে ইউপি মেম্বার, ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা থানা পুলিশের কাছে যাওয়ার পরাশর্শ দেন। তিনি ভুক্তভোগিদের মামলা করার আগে লিগ্যাল এইড অফিসারের পরামর্শ গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, পুলিশ মনে-প্রাণে চায় প্রত্যেকটি ঘটনার নিরপেক্ষ নিষ্পত্তি হোক। আর এ বোধ থেকেই পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত