দিনাজপুরে পানির অভাবে ফেটে চৌচির আমন ধানের খেত

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)

প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর চাষাবাদ করে থাকেন দিনাজপুরের কৃষকরা। তবে চলতি বছর পুরো বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে গেলেও দেখা নেই বৃষ্টিপাতের। সদ্য রোপণ করা আমনের চারাগুলোতে পানি সরবরাহ না করতে পারায় জমি ফেটে চৌচির। একদিকে বৃষ্টিপাত না থাকায় জলাশয়গুলোতেও দেখা দিয়েছে পানির অভাব। তবে জ্বালানি তেল চালিত শ্যালোমেশিন ব্যবহার করে পানি উত্তোলন করলেও খরচ গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে এবার চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বর্ষা মৌসুমেও খরা হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকই বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় থেকে ধানের চারা রোপণ করতে পারেনি। অনেকে দেরি করে চারা রোপণ করেছে। তারপরও বর্তমানে চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হলে চলতি মৌসুমে আমন চাষের পাশাপাশি ফলনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়য়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার রামডুবি ইউনিয়নের কৃষক আফসার উদ্দিন জানান, প্রতি বছর আমন চাষের সময় বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে যায়। এ বছর বৃষ্টির আশায় বসে থেকে আমনের চারা রোপণ করতে দেরি হয়ে গেছে। কোনোভাবে চারা রোপণ করা হলেও পানির অভাবে দেখা দিয়েছে আরেক সংকট। প্রতি বছরের মতো এবারও তিনি সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। চারা রোপণের পর জমিতে পানি সরবরাহ করতে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। এ ছাড়া তীব্র তাপের কারণে জমিতে বারবার সেচ দেওয়ার দরকার হচ্ছে। খরচ বহন করতে না পারায় অধিকাংশ কৃষক ঠিকমতো জমিতে পানি দিতে পারছে না। এতে ধানের খেত ফেঁটে চৌচির হয়ে পড়ছে। একদিকে বৃষ্টিপাতের দেখা নেই, অপরদিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও অচল। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। এবার আমন চাষে চরম বিপাকে কৃষকরা। বরাবরই আমন চাষে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের পানি সহায়ক হিসেবে কৃষকের পাশে দাঁড়ায়। এবার পুরো বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও ভারি কোনো বৃষ্টিপাতের দেখা নেই।