ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীতে কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী বাবলা

নীলফামারীতে কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী বাবলা

নীলফামারী থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন। সেখানে নানা প্রজাতির কবুতরের কথা ছড়িয়ে পড়েছে নীলফামারীসহ আশেপাশের জেলায়। জানা যায়, যখন চাকরি না পেয়ে অনেক যুবক হতাসায় নিমজ্জিত হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে কিংবা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, তখন বাবলা কয়েক হাজার টাকা হাতে নিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য নেমে পড়েন কবুতর ব্যবসায়। প্রায় ২৫ বছর ধরে দেশি বিদেশি প্রায় ৩০ জাতের কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী দেলোয়ার হোসেন বাবলা। তিনি কবুতর বিক্রি করে প্রতি বছর ৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের অচিনতলা গ্রামের আলহাজ নাসির উদ্দীনের ছেলে হলেন বাবলা। তিনি বেকার থেকে কবুতর পালন করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়ির পাশে পুকুরের উপর কবুতরের ঘর, ঘরের ভেতরে কবুতর লালন-পালনের জন্য অনেকগুলো সারিসারি লোহার খাঁচায় সাদা, কালো, লাল, হলুদ বিভিন্ন রঙের প্রায় শত শত কবুতর রয়েছে। কবুতরগুলো প্রতি মাসে ডিম ও বাচ্চা দেয়। একজোড়া বিদেশি কবুতর বিক্রি হয় ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা, আর দেশি কবুতর বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। দেশি ও বিদেশি জাতের মধ্যে রয়েছে লাক্ষ্যা, জামার্নশীল, গামাগাড়, ঝণার্শাটিন, মিলিরেসার, মাক্সি রেসার, ইন্ডিয়ান জিরা, টেডি, গ্রিজেল, লাল বোম্বাই, খাবির, সবজি রেচার, গিয়াচুলি, জিরাগলা, সিরাজীসহ আরো হরেক জাতের। ইউনিয়নের মেম্বার গোলাম রাব্বানী বলেন, কবুতরের খামারের পাশেই হাফেজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে, সেখানে আমি চাকরি করি। কবুতরগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। কবুতর পালন করে বেকারত্ব দূর হয় ও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যায়, সেটা বাবলাকে দেখে অনুমেয়। এলাকার চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে অনেকে দেখতে আসেন কবুতরগুলো, তারা কবুতর সম্পর্কে জেনে নেন কীভাবে পালন-পোষণ করবেন। তার খামারে দেখার মতো নানান রঙের বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে। দেলোয়ার হোসেন বাবলার সাথে কথা হলে তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আমি যখন বেকারত্বে দিশাহারা তখন মনে মনে কবুতর লালন পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এছাড়া ছোটবেলা থেকে শখের বশে কবুতর পুষতাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত